আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাইক্লিং...........



সামির যখন বলল অরু সাইক্লিং এ যাইবা...... বললাম এক পায়ে খাড়া....বলল বিজি সময়টা একটু পার হইলেই যাব......রেডি থাইকো..... গত পরশু বলল ১লা ফেব যাবো.....সকাল সাড়ে ৯ টায় জেটিতে চলে এস.....গতকাল আদিক বলল সবকিছু তৈরী হয়ে আছে......প্রায় ৩০ কিলো ....... লংকাউঈ এর ছোট্ট একটা অংশ চক্কর দিবো...... ৩০ কিলো শুনে একটু থতমত খেয়ে গেছি......আমি ভাবছিলাম ১০/১২ কিলো হবে....তুড়ী দেবার মতো করেই চালানো যাবে......সব চেয়ে দুঃখের কথা এখানে তাপমাত্রা এখন ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস (+/_ ২ ) যাই হোক সকাল বেলায় জেটিতে যেয়ে হাজির হইলাম.........সামির-রিনঝিন-রাজেন-জুরেশ-আদিক-ওমর-জোগেন্দ্র-আরতি-আনু-ইয়ুগ-ফিজি - নারা আর আমি...... যাই হোক পোর্ট লংকাসুকা তে এসে সাইকেল গুলা বেশ বড় সর একটা ঢোক গিললাম........মাত্র তিনটা রেসিং সাইকেল বাকি গুলা সাধারন.....রাস্তার মাঝেই তো মনে হয় খইসা খইসা পড়বো সাইকেল গুলা...... যাই হোক ১০টা ২০ এ শুরু করলাম আমাদের যাত্রা.......আদিক টিম লিডার ...... আমরা নিরীহ অনুসারী....... ১০ মিনিট চালানোর পরই বুঝতে পারলাম আজকে পুরাই খবর আছে.....প্রচন্ড রোদ....ঝরঝরা সাইকেল.....অনভ্যাস......সিগারেট খাওয়া কইলজায় দমের অভাব.......কোনো কিছুরই ঘাটতি নাই......চিন্তা করলাম পেছনে গাড়ি আছে.....সমস্যা হইলে সাইকেল গাড়ীতে তুইলা দিয়া গাড়ীর ছাদে বইসা থাকুম.......আধা ঘন্টা পর ১ম ব্রেক......আমি ভাবছিলাম আমার অবস্থাই মনে হয় খারাপ শুধু......পরে আশে পাশে তাকায় বুঝলাম আমার চেয়েও অনেক করুন অবস্থা পাবলিকের....... যাই হোক আরও ঘন্টা খানেক পর লান্চ এর জন্য থামলাম.......এর মাঝে রিনঝিন নক আউট......আরতি তখন রিনঝিন এর সাইকেল চালাইতেছে...... আমি লংকাউঈ এর ভিতরে খুব বেশী কিছু দেখি নাই আগে.......কিন্তু এবার দেখে কিছুটা ভুল ভাংলো......ছড়ায় ছিটায় আছে অনেক অনেক সুন্দর সুন্দর বাংলো........আবার কয়েক জায়গায় কয়েকটি বাংলো মিলে রেস্ট হাউজ বানানো হইছে.....রেস্ট হাউজের সাথে আবার রেস্টুরেন্ট ও আছে......গ্রামের মানুষ গুলি আমাদের দেখে কেউ মুচকি হাসি কেউ হাই কেউ হাত নাড়ছিল.......দেখতে খুব একটা খারাপ লাগছিল না......মজাই লাগছিল.....শুধু প্রচন্ড রোদটাই যা বিরক্ত করছিল....... লান্চের পর সামির বলল এর পরের ব্রেক হবে ডিংকস ব্রেক ( সফ্ট ড্রিংকস এবং বিয়ার যে যেটা খায়......) পরে নক আউট হলো জুরেশ.... জুরেশের করুন অবস্থা দেখে ফিজি বলল ঠিক আছে আমি টেক ওভার করছি তুমি গাড়িতে বস.......জুরেশের হাসি আর দেখে কে....... এরপর আমরা চেনাং বিচ এরিয়া ছেড়ে আসলাম চেনাং পোর্ট এ......এই পোর্ট টা নতুন হচ্ছে.....এখানে আছে চার্লিস রেস্টুরেন্ট......বেশ বড় আর অনেক খোলামেলা........বিচের সাথে গা ঘেষা.......সবাই মিলে বসলাম বার টপে.......সামির বলল ৩০ মিনিটে যার যা ইচ্ছা ড্রিংকস নাও......বইলা আমার হাতে একটা বিয়ারের ক্যান ধরায় দিল......ধীরে সুস্থে ২ টা বিয়ার খাইয়া আবার সাইকেলে...... এবার মোটামুটি আগে আগে চালাচ্ছিলাম.......হটাৎ কইরা প্যাডেল খুইলা পড়লো........সাইকেল থামায় দেখলাম প্যাডেল পুরাই খুলে এসেছে.....করুন চোখে দেখলাম সবাই কি হইছে বইলা আগায় যাইতেছে.....পরে আমাদের গাড়ী যখন আসল মালিক ( মেকানিক ) কি কি যেন খুটা খুটি কইরা ঠিক কইরা দিল........ আবার আমার সাইকেল দৌড়.........আরতি ক্লান্ত হয়ে পড়ায় আবার সাইকেল চালাইতেছে রিনঝিন..........এবার প্রায় লাস্ট ল্যাপের কাছাকাছি...... রিনঝিনের সাইকেল পাংচার........ নারারে দেখি সাইকেল ছাইড়া হাইটা যাইতেছে........কি হইছে জিগাইতেই কইলো ভাই ক্লান্ত তাই সাইকেল রে রেস্ট দিতাছি........... প্রায় যখন আমাদের পোর্টে এসে গেছি জোগেন আমারে ক্রস করতে যেয়ে সাইকেল নিয়ে এবড়ো থেবড়ো রাস্তায়....তাকায় দেখলাম ওর সিট খুইলা পড়তাছে..........যাই হোক এন্ড পয়েন্ট এসে আরেকটা বিয়ার গলায় ঢালতেই একে একে সবাই এসে পরে ওমর ছাড়া.....পরে দেখি কিছু সময় পর হাটতে হাটতে আসতেছে.......ওর সাইকেল জ্যাম হয়ে গেছিল........ পরে ২.৫০ এ রূমে এসে কোনো রকমে লান্চ করেই আগে দুইটা প্যানাডল ( প্যারাসিটামল ) খাইয়া নিছি..... ( গতকাল ছবি গুলি পাইনাই দেখে নেট থেকে ছবি নিয়ে পোষ্ট দিছিলাম....আজকে বিকেলে সাইক্লিং এর ছবি গুলি পাবার পর নতুন করে ছবি আপলোড করলাম )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.