আমার চোখে বর্তমান...
কয়েক মাস আগে আমি একটি রেসিং বাইক কিনেছিলাম (কেনার সময় দোকানের লোকটা বলছিল রেসলিং সাইকেল)। চমৎকার নীল রংয়ের বাইক। বেশ ভালো স্পীড। অফিসে আসা ছাড়াও সম্তাহে এক দুই বার এক্সারসাইজের জন্য ও চালাই। খুব ভালো লাগে।
অফিসে আসার পথে সবাই জ্যামে বসে থাকে, আর আমি গাড়ি, পথচারির ফাক ফোকর দিয়ে আস্তে আস্তে চলে আসি। সাইকেল কিনে আমি খুব ভালো বোধ করছি। রিকসা ওয়ালার সাথে নিয়মিত ঝগড়া করা আমার কর্ম না। তার উপর নিত্য নতুন রিকসা বিধিনিষেধের মাঝে সাইকেল আরো ভালে উপকার দেয়।
নরওয়েতে সম্ভবত শুনেছিলাম যে, একটা পরিবেশবাদীদের গ্রুপ আছে, যারা কখনো কার কিনে না।
সাইকেল তাদের প্রিয় ট্রান্সপোর্ট। প্রয়োজনে তারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করে অথবা অন্যের ট্রান্সপোর্ট শেয়ার করে- এই রকম। পুরোপুরি মনে নাই আর কোন সোর্স খোজার সময় নাই আসলে। সিডনীতেও আমরা প্রচুর সাইকেল ব্যবহারকারী ছিলাম। আমার এক প্রফেসর টেরী প্রায়ই তার দশ হাজার ডলার দামের সাইকেল চালায়ে প্রায় ১০/১২ কি.মি পথ পাড়ি দিয়ে অফিস করত।
আইডিয়াটা খুব প্রয়োজনীয় ও চমৎকার। বিশেষত "সিডর" টাইপের সাইক্লোনের পর আরো প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে মনে হয়।
আমি সাইকেল কেনার পর আমার আরো দুই কলিগ ও কিনলেন। আমরা তিনজন এখন সপ্তাহে অন্তত একবার ভোর বেলা সাইকেল চালায়ে রমনা পার্কে যাই। একসাথে এক্সারসাইজ করি বা আসে পাশের এরিয়াতে সাইক্লিং করি।
খুব ভালো লাগে।
আমার মনে হয়, সমসাময়িক বিভিন্ন হেল্প ক্যামপেইন এর পাশাপাশি আমাদের সাইক্লিং এর উপরও একটি ক্যামপেইন চালু করা খুব জরুরী হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র শিক্ষকরা, চাকুরীজীবিরা, বা নিত্যদিনের দরকারেও সাইকেল ব্যবহার করতে পারি। পরিবেশ বাচবে, বাচবে সময় ও অর্থ। কে জানে হয়ত শুধু সাইক্লিং করে হয়ত আমরা আরেকটি "সিডর" হতে রক্ষা পেতে পারি।
কেউ কি এ সম্পর্কিত গবেষনা করে জানাবেন। অনেক ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।