কোথায় পাব শান্তি,তাই খুজেঁ বেড়াই।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে নয়, 'সত্যিকারভাবে' যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে বিএনপি এর বিপক্ষে নয়। শুক্রবার দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এ কথা বলেন।
সকালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,'' যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিকে আমরা নীতিগতভাবে সমর্থন করি। এখানে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়।
তবে রাজনৈতিকভাবে নয়, সত্যিকারভাবে বিচার করা হলে আমরা তার বিপক্ষে নই। ''
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। নবম সংসদের বেসরকারি সদস্য দিবসে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদের উত্থাপিত 'যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের উদ্যোগ গ্রহন ' শিরোনামের এ প্রস্তাব গৃহীত হয় সর্বসম্মতভাবে।
শুক্রবার পুরান ঢাকার আর্মানিটোলায় নিজের বাসা থেকে মানিকগঞ্জ যাওয়ার সময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন,'' যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিষয়ে এদেশের কোনো মানুষেরই আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে এটা খুব পুরনো বিষয়, বিচারটা আগেই হওয়ার কথা ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের পর যাদের হাতে দেশ শাসনের ভার ছিল, বিচারটা তাদেরই করার কথা। '৯৬ সালেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল, তখন কেন এ বিচার করেনি, এটা তারাই বলতে পারবে। ''
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ যাতে হয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত না হয়- সে বিষয়ে সর্তক থাকা দরকার – এ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, '' কি প্রক্রিয়ায় বিচার হবে, পদ্ধতি কি হবে- তা না জেনে এখনই কিছু বলা ঠিক হবে না। ''
এ সময় সংসদে বিরোধী দলকে রাখার বিষয়ে সরকারি দলের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন সাবেক চিফ হুইপ। তিনি বলেন,'' সংসদকে কার্যকর করতে হলে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ নেতাকে উদার হতে হবে।
সংসদের রীতি হচ্ছে, স্পিকারের বাম দিকে বিরোধী দল ও ডান দিকে ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা আসন পাবেন। কিন্তু স্পিকার আসন পূর্নবিন্যাস যেভাবে করেছেন, তা ঠিক হয়নি। এজন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলের সদস্যরা ওয়াক আউট করেছেন। এখন বিরোধী দলকে সংসদে রাখা কিংবা তাদের সংসদে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব স্পিকার,ডেপুটি স্পিকার ও সরকারি দলের। সরকারি দল সেটা চায় এমনটি তাদের কর্মকান্ডে তা প্রকাশ পাচ্ছে না।
''
শুক্রবার নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন দেলোয়ার, '' ইতিমধ্যে দলীয় চেয়ারপার্সন পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছেন। গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা , জেলা সব পর্যায়ে সংগঠনের অবস্থা জানতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ১ ফ্রেবুয়ারি, স্থায়ী কমিটির বৈঠক। সেখানেও এ বিষয়ে আলোচনা হবে। ''
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।