যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে বি এন পি বরাবরই রহস্যময় আচরণ করেছে। দলের বড় নেতারা সাধারনতঃ ধরি মাছ না ছুঁই পানি ধরনের গা বাঁচানো উত্তর দিয়ে মূল বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। ক্বদাচিৎ তাদের বড় নেতাদের কেউ কেউ এবিষয়ে দু'একটি কথা বললেও ব্যাপারটি কথার কথাই থেকে গেছে। কিন্তু গত কালকের পত্রিকায় পবনরে বাপের মন্তব্য পড়ে সে ভুল ভাঙলো। পবনের বাপ মানে আমাদের দেলোয়ার হোসেন সাহবে।
বি এন পি.র মহাসচিব। বন্ধুদের অনেকে আমার এই নতুন সম্বোধনে আমাকে খারাপ ভারতে পারেন অভদ্র ভাবতে পারেন। তবে ছেলের কীর্তি যখন বাবাকে ছাড়িয়ে যায় তখন আর তিনি বাবার ছেলে থাকেন না বরং বাবাই পরিচিতি পান ছেলের নামে।
পবনের সামপ্রতিক কমকান্ড তার বাবার কীর্তিকেও ম্লান করে দেওয়ায় পবনের বাপ কথাটাই ঠিক।
যাহোক এই ভদ্র লোক এতদিনে পরিষ্কার করেছেন দলের অবস্থান।
তার বক্ত্বব্যের পর বি এন পি থেকে যখন কোন প্রতিবাদ জানানো হয়নি তখন ধরে নেয়া যায় বি এন পি র দলীয় অবস্থান দেলোয়ার সাহেবের মতই।
আমি আম জনতা হিসাবে যুদ্ধাপরাধের আইনি ব্যাখ্যা এত ভালো বুঝিনা। পত্র পত্রিকায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আলোচনা থেকে বুঝতে পারছি। অপরাধীদের সময় ঘনিয়ে এসেছে ১৯৭১ যারা আমাদের নিরপরাধ বাপ ভাই দের হত্যা করেছে, মা বোন দের অসম্মান করেছে, আমাদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে তাদের বিচারের আয়োজন প্রায়সম্পন্ন হয়েছে। এখন আর পেছনে ফেরা যাবেনা।
আমরা তো এটি ই চেয়েছিলাম। এই বিচার কে যুদ্ধাপরাধের বিচার বলা হলো না মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলা হলো তাতে কি আসে যায়। অসল কথা হলো এই সব ঘৃণ্য পশুদের বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করানো এবং শাস্তি নিশ্চিত করা।
আমি জানি না যদি বিশেষ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচার করা হয় তাতে ক্ষতি কী? বি এন পি কী তবে এসব তুচ্ছ বিষয় কে সম্বল করেই ক্ষুনিদের বাঁচাতে চায়? হাজার হাজার মুক্তি যোদ্ধাদের দল বি এন পি এরকম একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি বিশ্বাস করি না। তবে জামাতের ছত্র ছায়ায় বি এন পি যে এরকম করতেও পারে সেটি একবোরে ফেলে দেবার মত নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।