!!!
দু’দিন ধরেই মন খারাপ। প্রচন্ডভাবে। মানুষ এতো নিষ্ঠুর হতে পারে !? হত্যা করতে পারে হাজারো পাখি! বলছিলাম কাওয়াদিঘি হাওরের অতিথি পাখি নিধনের কথা। মৌলভীবাজার জেলার ৩টি বৃহৎ হাওরের মধ্যে অন্যতম কাওয়াদিঘি হাওর রাজনগর উপজেলায় অবস্হিত। প্রতি বছর শীতমৌসুমে এসময় হাওরে অতিথি পাখির আগমন ঘটে।
এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রতিবছর কিছু পাখি শিকারীদের লোভে মারা যায়। এবার মানুষের সে লোভ পরিণত হয় নিষ্ঠুরতায়।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকা প্রশাসন ও থানা পুলিশের নজর এড়িয়ে চিটা ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে শিকারীরা ছেড়ে দেয় হাওরে। বিষযুক্ত খাবার খেয়ে পাখিরা নিস্তেজ হতে শুরু করে।
দু’দিন পর মারা যাওয়া শুরু হয়। বাজারে নিস্তেজ/মৃত পাখি বিক্রিও হয়। কীভাবে এতো লোকের অগোচরে বিষ প্রয়োগ হলো? অনুসন্ধানে পাওয়া যায় কিছু তথ্য।
মূলত ছোট-বড় কিছু বিলের সমন্বয়ে কাওয়াদিঘি হাওর গঠিত। এই বিল খাস তথা সরকারি জলমহাল হিসেবে মাছ উৎপাদনের জন্য ৩ বছর মেয়াদী ইজারা দেয়া হয়।
ইজারাগ্রহীতারা বিলে পাহারার ব্যবস্হা রাখেন। তাহলে পাহারাদাররা শিকরীদের বাধা দেয়নি কেন? স্হানীয় লোকজন জানান, বিলের মাছ এবং বিলের পাশের ধানী জমি পাখীদের কারণে বিনষ্ট হয়। এই অজুহাতে ইজারাগ্রহীতা এবং কৃষক শিকারীদের বাধা দেয়নি। যা পরোক্ষভাবে শিকারীদের করে তুলে বেপরোয়া। এছাড়া ক্ষমতার পট পরিবর্তনের ফলে কিছু ইজারাদার বিলের নিয়ন্ত্রণও রাখতে পারছেন না।
সব মিলিয়ে লোভী শিকারীরা মেরে ফেলে হাজারো অতিথি পাখি।
উপজেলা প্রশাসন ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত দু’দিনে তারা বেশ কিছু অপরাধীকে সনাক্ত করতে পেরেছেন। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর ব্যবস্হা গ্রহন করার কার্যক্রম চলছে।
হাওর এখন প্রায় পাখি শূণ্য। বেঁচে যাওয়া পাখিগুলো ভয়ে চলে গেছে অজানায়।
প্রতিবাদ করার ভাষা যে তাদের নেই। হয়তো অভিমান করে ফিরে নাও আসতে পারে। আসবে কি? মানুষের লোভ আর নিষ্ঠুরতার কাছে বলি হলো প্রকৃতি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।