অন্যান্য ঘরের পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি বাথরুমের পরিচ্ছনতা নিশ্চিত করা জরুরী। কারন বাথরুম এবং রান্নাঘরই বাড়ির লোকদের রুচির প্রকাশ করে।
১. বাথরুমে সাদা রং করা থাকলে অনেক পরিচ্ছন্ন দেখায়।
২. মেঝে থেকে অন্তত সাত ফুট উঁচু পর্যন্ত টালি বা পাথর লাগালে পরিষ্কার করা সহজ হয়। পুরো বাথরুমটা যদি এটা করা সম্ভব না হয় তাহলে গোসলের জায়গাটা টালি দিয়ে বাঁধালে পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে।
৩. বাথরুম যদি ছোট হয় তা হলে হয়তো সম্ভব নয়, না হলে গোসলের জায়গাটা টয়লেট থেকে সামান্য দূরে করা ভালো তাতে টয়লেটে পানির ছিটে পড়বে না।
৪. নিয়মিত বাথরুম ভ্যানিশ দিয়ে পরিষ্কার করা দরকার। কত নিয়মিত তা নির্ভর করছে কতজন ব্যবহার করছেন তার উপর।
৫. প্রতিদিন ব্যবহারের পর ধুয়ে মুছে বাথরুম শুকনো করে নিন, যেমন অন্য ঘর পরিষ্কার করেন।
৬. টয়লেটের কেবল ভেতর পরিষ্কার করলে চলবে না।
তার বাইরের অংশও পরিষ্কার করে ধুয়ে মুছে রাখবেন।
৭. সিসটার্ন অর্থাৎ যে অংশে পানি ভরা থাকে, সেই অংশটিও পরিষ্কার করবেন।
৮. বেসিন পরিষ্কার করার সময় কলের নিচ, কোণ ইত্যাদি ঘষে পরিষ্কার করবেন।
৯. আয়নায় পানি বা সাবানের ছিটে পড়লে ঝাপসা, নোংরা দেখায়। খবরের কাগজ ভিজিয়ে অনেকে পরিষ্কার করেন।
সেটা ভালো পরিক্রমা তবে রুম ফ্রেশনার আয়নায় ছিটিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে নিলে একই সঙ্গে দুটো কাজ হবে।
১০. বাথরুমের আলো সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকুন। বাল্ব খুলে পরিষ্কার করে তাতে দুফোঁটা পারফিউম লাগিয়ে দিন। বাথরুম উজ্জ্বল তো দেখাবেই, সুগন্ধও ছড়াবে।
১১. বাথরুমের ঝুল সম্পর্কে বেশির ভাগ মানুষই ওয়াকিবহাল নয়।
অন্য ঘরের মতোই ঝুল ঝেড়ে পরিষ্কার করা উচিত।
১২. বাথরুমের জানালায় কাচ থাকলে ভালো, বাইরের আলো ঢুকতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাচ যাতে নিয়মিত পরিষ্কার হয় সেদিকে নজর দেওয়া দরকার।
১৩. দরজা-জানালা যদি কাঠের হয়, তাহলে তেল রং করে নেবেন। পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে।
১৪. যে তাকে সাবান, টুথপেস্ট, ব্রাশ ইত্যাদি রাখেন, সেই অংশটা ভুলে যাবেন না। বেসিন বা বাথরুম পরিষ্কার করার সময় সেটাও পরিষ্কার করবেন।
১৫. ফ্যাশট্যাঙ্কে বেশি পানি ভারে রাখবেন না। ফ্যাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাশ দিযে কমোড পরিষ্কার করবেন। ব্রাশ গোল করে ঘুরালে কমোড পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে।
আর ব্রাশ যতটা গভীরে নিয়ে যেতে পারেন ততই ভালো।
১৬. কমোডের ভেতরের ও বাইরের অংশে ভ্যানিশ ছিটিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর পানি ঢেলে পরিষ্কার করবেন। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করা ভালো।
১৭. কমোডের দাগ দূর করার জন্য কিছুটা ভ্যানিশ কমোডের প্যানে ফেলে সারারাত রেখে দিন। তারপর সকালে উঠে ফ্যাশ করলেই দেখবেন দাগ দূর হয়ে গেছে।
১৮. পরিষ্কার বাথরুমের পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাথরুমের প্যান বা কমোডের চারপাশে ভ্যানিশ ছিটিয়ে কিছক্ষুণ পর পানি দিয়ে ধুযে ফেলুন।
১৯. বাথরুমের দরজার কাছে ডোর ম্যাট লাগাতে ভুলবেন না। পা পিছলে যাওয়ার থেকে এই ডোর ম্যাট আপনাকে বাঁচাবে।
২০. পাঁচ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের বাথরুমে কখনো একা একা যেতে দেবেন না।
২১. পরিষ্কার করার ভ্যানিশ বা টয়লেট ব্রাশ বাচ্চাদের ধরতে দেবেন না।
২২. রেজার, ব্লেড, ক্রিম ইত্যাদিও বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন।
২৩. বাথরুমের মেঝে পালিশ করবেন না। কোনোরকম তরল পদার্থ মাটিতে পড়লে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।