আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোগঃ- হেপাটাইটিস



লক্ষণ ও উপসর্গ কিছু কিছু ধরনের হেপাটাইটিস-এর কোন লক্ষণ ধরা পড়ে না। আবার অন্যান্য হেপাটাইটিস রোগের শুরুতে যে লক্ষণগুলো দেখা যায় সেগুলো অনেকটা ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণঃ ১. জ্বর। ২. বিতৃষ্ণাবোধ এবং বমি। ৩. খাবারের প্রতি অনীহা। ৪. তলপেট বা উদরে ব্যথা।

৫. অবসাদ। অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছেঃ ১. কালো বা গাঢ় পস্রাব। ২. ম্লান এবং কাঁদা রঙ্গের মল। ৩. জন্ডিস - চোখ এবং ত্বক হলুদ হয়ে ওঠা। কী করা উচিত ১. আপনার যদি হেপাটাইটিসের লক্ষণ ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে মদ পান করবেন না।

হেপাটাইটিস হবার পরও মদ পান করলে লিভারের ক্ষতির ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ২. বাড়িতে থাকুন এবং প্রচুর বিশ্রাম গ্রহণ করুন। আপনাকে যে বিছানায় শুয়ে থাকতে হবে এমন নয়, তবে ক্লান্তি অনুভব করলে শুয়ে থাকাই ভালো। ৩. প্রতিদিন অন্তত ১০ গ্লাস পানি পান করুন। কখন ডাক্তার দেখাবেন ১. প্রথমে উল্লেখিত লক্ষণগুলোর দুটো বা তারও বেশি লক্ষণ যদি আপনার সাথে মিলে যায় কিংবা অন্যান্য লক্ষণগুলোর যে কোন একটির সাথে মিলে যায়; বিশেষত যদি কোন হেপাটাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংসপর্শে আপনি এসে থাকেন।

২. যদি হেপাটাইটিস থেকে সেরে ওঠার সময় আপনার মধ্যে নতুন কোন লক্ষণ দেখা দেয়। কীভাবে প্রতিরোধ করবেন ১. বিদেশ গমনের সময় যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশে হেপাটাইটিসের প্রকোপ জেনে নিন, যদি সে দেশে হেপাটাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকে সেক্ষেত্রে টিকা নিয়ে নিন। ২. বিদেশে গেলে সেখানে কেবল ফুটানো পানি পান করবেন। খোসা ছাড়ানো কিংবা রান্না না করা ফল বা শাকসব্জি আহার করবেন না। ৩. বার বার আপনার হাত সাবান দিয়ে ধূয়ে ফেলুন।

৪. নিরাপদ যৌন মিলনের চর্চা করুনঃ কেবল একজন সঙ্গি যার প্রতি আপনার আসহা রয়েছে যে সে এই ভাইরাসে আক্রান্ত নয় তার সাথে যৌন মিলনই সবচে নিরাপদ। যদি আপনার একাধিকা ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্ক থাকে, সেক্ষেত্রে লেটেক্স কনডম ব্যবহার করুন, এমনকি যখন ওরাল সেক্স (মুখ দ্বারা কৃত যৌন চর্চা) করবেন তখনও। এবং ব্যবহৃত কনডম কখনই ব্যবহার করবেন না। ৫. যে মানুষের যৌন জীবন সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা নেই বা যে এইচআইভি-এর পরীক্ষা করতে আগ্রহী নয় তার সাথে অনিরাপদ যৌন মিলনে কখনই অগ্রসর হবেন না। ৬. এ্যানাল সেক্স বা নিতম্ব দিয়ে যৌন চর্চা থেকে নিজেকে বিরত করুন, কেননা রক্তপাতের কারণে এক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে বেশি।

৭. জড়িয়ে ধরা, চুম্বন করা (শরীরের যেকোন অংশে), ম্যাসেজ করা এবং সপর্শ করা নিরাপদ - এতে কোন ভয় নেই। ৮. মদ পান করবেন না। তবে মদ পানের অভ্যাস থাকলে, যদি পুরুষ হন সেক্ষেত্রে দিনে ২৫০ এম এল এর বেশি মোটেও পান করবেন না, আর নারী হলে ১২৫ এম এল এর বেশি নয়। তবে স্বাসহ সার্বিকভাবে ভালো রাখতে কখনই মদ না খেলে উত্তম, যদি একান্তই সেটা সম্ভব না হয় তবে সপ্তাহে তিন বার মদ পান করবেন এর বেশি নয়। ৯. শিরায় প্রবেশ করিয়ে বা ইঞ্জেকশান দিয়ে নিতে হয় এরকম কোন ওষুধ বা নেশা দ্রব্য নেবেন না।

১০. যখন পায়রসিং, বা ট্যাট্টু আঁকার কাজ বা দেহে আকুপাংচার করবেন তখন নিশ্চিত হয়ে নিন যে এসব কাজে স্টেরিয়ালাইজড নিডল বা সূঁচ ব্যবহার করা হচ্ছে। ১১. যারা ’এ’ কিংবা ’ই’ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত তাদের কোন খাবার রান্না করা বা অন্যের খাবার সপর্শ না করাই উত্তম। এবং তাদের বিছানা পত্রও নিয়মিত ধূয়ে পরিস্কার রাখা উচিত।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.