কারাগারে থেকেও নিজের প্রভাব ও প্রতিপত্তে এখনও যে ভাটা পড়েনি তা আরও আরেকবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন সুইডেন আসলাম। গতকাল স্বয়ং পুলিশের উপস্থিতিতে আদালত প্রাঙ্গণে অপরাধ জগতের গডফাদার সুইডেন আসলাম এবং কুত্তাচোরা লিটন আলাদা আলাদাভাবে তাদের সহযোগীদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা বৈঠক করেন।
শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, লিটন ওরফে কুত্তাচোরা লিটন এবং তাদের অন্যতম সহযোগী শাহীন গতকাল সকালে বিশেষ ট্রায়াল আদালত-২ (স্পেশাল ট্রায়াল কোর্ট-২) এর প্রসিকিউশনে গালিব হত্যাকাণ্ড মামলায় হাজিরা দিতে আসে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সুইডেন আসলাম।
রাজধানীতে খুনসহ অন্তত ১৫টি অভিযোগে অভিযুক্ত আসলামকে কোনো মামলায় রিমান্ডে যেতে হয়নি।
শুধুমাত্র গালিব হত্যাকাণ্ডটি তার মাথায় ঝুলে আছে।
অপরদিকে প্রসিকিউশন মামলায় কোনো প্রত্যক্ষসাক্ষী উপস্থিত করাতে না পারায়; মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বাধীন ট্রায়াল ২২ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়। তবে বিচারক মোজাম্মেল হক আনুমানিক বেলা ১২.৩০ মিনিটের দিকে তার চেম্বারে গেলে আসলাম এবং লিটন আদালত কক্ষে পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের সহযোগীদের সঙ্গে আলাপ করে।
পুলিশের সহকারী তদন্তকর্মকর্তা আখতার আহমেদ খান তার পঁাচ-সাতজন সহকর্মীর সহযোগিতায় আসলাম এবং লিটনের কয়েক ডজন সহযোগীকে আদালত ভবনের ষষ্ঠ তলায় আলাপের সুযোগ করে দেয়। ঘটনাটি কেউ জেনে যেতে পারে এমন আশঙ্কা সহকারী তদন্তকর্মকর্তা আখতার আনুমানিক বেলা ২.৩০ মিনিটের দিকে ওই আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় হাতকড়া পরা অবস্থায় আসলামকে নিয়ে আসেন।
সে সময় আসলাম আদালতের তদন্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতে সহযোগীদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যায়।
আসলামকে যখন কাস্টডি থেকে বের করা হচ্ছিল, তখন সে সিগারেট খেতে খেতে তার সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলছিল। এমনকি সে একটি মোবাইল ফোন বহন করছিল। এ প্রসঙ্গে তদন্তকর্মকর্তা আরিফুল জানান, যেহেতু আসলাম এবং লিটনকে কাশিমপুর জেলে নিয়ে যাওয়া হবে তাই তারা অন্য অপরাধীদের সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান করছিল। তবে তাদের আলোচনার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান।
সূত্র : নিউ এজ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।