যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি
মুক্তবাতাসে মুক্তপ্রাণের আধার হয়ে
মনামি বেশী দিন থিতু হতে পারে না।
ঘৃণা আর ক্ষোভের চারাকে জল দিয়ে
বড় করে তোলে মনামি। সেই ক্ষোভবৃক্ষ
বড় হলে পরে,ডালপালা ছড়িয়ে ঘন হলে পরে
মনামি একটি রাতকে বেছে নেয়। মনামি একা।
ঘন কালো অমানিশা আরো কৃষ্ণবর্ণ ছমছমে রাত।
প্রথম দেবতা,যাকে মনামি প্রথম ভেবেছে।
প্রথম দেবতা, যাকে মনামি স্মরণে রেখেছে।
প্রথম দেবতা, যার ঘরে মনামি উলঙ্গ ঢুকেছে।
প্রথম দেবতা, যার সামনে সম্পূর্ণ উলঙ্গ মনামি!
মনামি! এ্যাই তুই সেই মনামি না?
হ্যাঁ।
মনামি তুই ন্যাংটো হয়ে!? মনামি!!
হ্যাঁ।
মনামি তোর কি সামান্য লজ্জা হলো না?
না।
মনামি তোর এই শরীরটা..হ্যাঁ এটাই..
হ্যাঁ।
মনামি তুই আমার মেয়ের মত.......
না।
মনামি আমি হলপ করে বলছি..
না।
মনামি আমায় গুলি করে দিলি?
হ্যাঁ।
মনামি অসুর যেন কি বলেছিল...
মনামি আমি বাঁচলে মা হতিস....
না।
সময়ের কাটার চেয়ে বেগে ধাবিত হওয়া সময়কে পেছনে ফেলে মনামি এক থেকে আর একে ছুটে চলে। এক এক করে সাতটি দেবতা। সাত সাতটি বুলেট সাত সাতটি বুক আর কপাল ফুটো করে। সর্বশেষ যে দেবতা, মনামি তার চরম সময়ে হাজির ছিল।
সে তার বউকে আদর করছিল। একটু পরই আদর মাখামাখিতে নেমেছিল। মনামি অপেক্ষা করেছিল। মনামি শেষ সময়ের আগে...একেবারে ঠিক শেষ সময়ের আগে,যখন দেবতার কামসঙ্গীতের বিস্তার...মুখ-আভোগ শেষে বিস্তার...স্খলন...ঠিক সেই সময়ে মনামি গুলি করেছিল। লাল টিপের মত কপালে ফোটা পরেছিল দেবতা।
মনামি মিলিয়ে দেখেছিল, সেই সময়ের দেবতা আর এই সময়ের দেবতাকে। কতটা ফারাক! কতটা কাম আর ধর্ষভাব।
উলঙ্গ মনামি কাউকে লজ্জা পায়নি। ওই যে দেবতা যারা মনামির লজ্জা লুটেছিল তাদের কে কি লজ্জা! সম্পূর্ণ উলঙ্গ মনামি উলঙ্গ আকাশের তলে হেঁটে হেঁটে উলঙ্গ নদীতে স্নানে নেমেছিল। স্নিগ্ধ সুরভতি স্নান।
আহা কি পরম সৌম পবিত্র স্নান। আকাশ আর জলের পরশ।
মনামি তুমি দগ্ধ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছো?
না।
মনামি তোমার জিঘাংসা প্রশমিত?
না।
মনামি সামনে কত কাজ পড়ে আছে...
হ্যাঁ।
কি করে ফেরাবে তারে............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।