"বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না। "শিহরণে সত্তায় তুমি, হে আমার জন্মভূমি"
বাসাটা রেললাইনের একদম পাশে। ট্রেন গেলেই বাসা এবং তাতে বসবাসকারী মানুষগুলো অনিচ্ছাসত্তেও শিউরে শিউরে উঠে।
মুক্রবার, রুটিন ওয়ার্ক করছি। পিসি মোছা, কাপড় ধোয়া, বইপত্র গোছানো, লিখা কিছু আছে কি না দেখা, একটু পড়া, গান শোনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
গান শুনতে শুনতে দাঁড়িয়ে একটা ম্যাগাজিন দেখছি। হঠাত চমকে হাত থেকে ম্যাগাজিনটা ফেলে দেই। মনে হলো যেন আমি শিস্ শুনলাম। তাহলে কি সুজন এসেছে? কিন্তু ওর তো আসর কথা নেই। ছুটির দিনগুলোতে দোতলা থেকে আমার তিনতলায় সুজন এভাবেই শিস্ দিতে দিতে উঠতো।
আমার এখানে পিসি চালাতো, মুভি দেখতো। দুবাইতে এখন সুজন কেমন থাকে? ছুটির দিনে একা একা কি করে?? আমার চমকানোটা মন খারাপে পরিণত হয়। সুজনকে এই মন খারাপের কথা জানাই না।
যারা বহুবছর হলে থাকে, অনার্স ফাস্র্ট ইয়ার থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত তারা ভার্সিটিতে থাকতে বলতো শুনতাম, এ ই যে একবার ঘরের বের হলাম আর কখনো দেখবি ঘরের মানুষ হতে পারব না। মেয়েরা বলতো আরও বেশি আক্ষেপ করে।
আর বাড়ি ফেরা হবে না। ভার্সিটি ছাড়ার আগেই দেখবি কার না কার গলায় ঝুলে যাব!!
আমি জানি আমার ছোট ভাইটা আর কখনো আমার কাছে ফিরবে না। আকাশের সীমানা আলাদা হয়ে যাবে। ওর সামনে আদিগন্ত ভবিষ্যত, নিজের ক্যারিয়ার, বিয়ে হবে, তারপর বাবু হবে, দায়িত্ব...আমি হয়তো এভাবেই চমকে চমকে উঠব, তারপর নিজের জগতে আবার ভুলে যাবার ভান করে ইট চাপা দিব আমার আপাত রুক্ষ আদতে স্পঞ্জের মতো নরম অনুভবকে!!
সব ছাপিয়ে একটাই বাসনা কাজ করে-ভালো থাকুক, আনন্দে থাকুক যেখানেই থাকুক। নয়ন সমুখে তুমি নাই, নয়নেরও মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই - ও আমার আদরের ছোটভাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।