বাংলা দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা কে জাতীয় মর্যাদা দেওয়া হোক
********************************
যখন ফুটে শিশুর মুখে বুলি
অ আ ক খ ১ , ২ পড়া
শুরু হয় ভাষা শেখা
বিদ্যা হয় মগজে গড়া ।
*********************************
সেই শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম খাটি সহজ ভাবে বিদ্যালয় বা পাঠশালা । অথচ প্রত্যক টা
প্রতিষ্ঠানের শিরোনামে যে কথাটি লেখা থাকে তা হল ইংরেজিতে । যেমন স্কুল , কলেজ , ইউনিভার্সিটি , মেডিকেল ,
এমন কি সরকারী বেসরকারি সকল অফিস আদালত , কলখারকানা এবং ব্যাংক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান , হোটেল , কারিগরি , আবাসন , ও পন্যদ্রব্যর মাঝেও ।
আমি আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে ইংরেজিকে অবহেলা বা কটাক্ষ করছিনা ।
বরং পাশাপাশি বাংলা উচ্ছারনে স্পষ্ট করে
সর্বক্ষেত্রে তা জাতীয় ভাষায় , জাতীয় মর্যাদার সহিত সংরক্ষণ এবং মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হোক ২০১৩ সালের মধ্য
আমাদের সকলের প্রানের দাবি ।
আমরা কম কিসে আমাদের মাতৃভাষা আজ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতী গৌরবের সাথে শিখে থাকে এবং ২১ শে
ফেব্রুযারি দিন টি যথা যোগ্য মর্যাদায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ঘটা করে উদযাপন হয় ।
বাংলাদেশের সোনার ছেলে রফিকুল ইসলাম জাতীয় সংঘের মহা সচিব কফি আনানের নিকট ১৯৯৮ সালের ৯ ই জানুয়ারি একটি পত্র লিখেন । তাতে তিনি মাতৃভাষার গুরুত্ত এবং তা রক্ষার প্রয়োজন উল্লেখ করে ,সারা বিশ্বে কোন
একটি দিন কে বাংলা মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন ঘোষণার প্রস্তাব করেন । এবং প্রবাসী বাঙ্গালী আব্দুস ছালাম এর সঙ্গে [ রাউজান চত্ত্রগ্রাম ] তারা সাত ভাষা ভাষী ১০ জনের সমন্বয়ে গড়ে তুলেন এ গ্রুপ অফ মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার অফ দা ওয়ালড সংঘটন ।
এবং বহু সাক্ষর সংগ্রহ করে তা পাটিয়ে দেন জাতীয় সংঘের কানাডিয়ান প্রতিনিধি ডেবিট ফবারের বরাবরে । দিনটি ছিল ১৯৯৮ সালের ২৮ শে মার্চ । এবং ১৬ই আগস্ট হাঙ্গেরি সমর্থন জানালে আনন্দে উৎফুল্ল হয় রফিক ছালাম এবং সদস্যরা ।
১৯৯৯ সালের ১০ ই সেপটেম্ভর বাংলাদেশ প্রস্তাবটি পাটায় ইউনেস্কুর সদরে । টেকনিক্যাল কমিটিতে তা পাশ হয় ।
ইউনেস্কুতে অনুমোদনের জন্য প্যারিস ও বাংলাদেশ দুতাবাস প্রশংসনীয় ভুমিকা পালন করে ।
যার ফলে ২৮ টি দেশ প্রস্তাবটির সহ প্রস্তাবক হতে রাজি হয় । ২৮ টি দেশের মধ্য চিন পাকিস্থান ও ছিল ।
১৯৯৯ সালের ১৭ই নবেম্ভর প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয় সর্বসম্মত ভাবে । ১৮৮ টি দেশের কেউ বিরুধিতা করেন নি ।
জন্ম হয় ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের । কুমিল্লার ছেলে রফিক এবং চত্রগ্রামের সন্তান ছালামের দুরন্ত অগ্রযাত্রা যদি আমাদের সকলের মধ্য উদ্ভাসিত , উজ্জ্বল , দিপ্তমান থাকে তাহলে আমরা উন্নত যুগের সাথে তাল মিলানো এবং নিজেদের গৌরবকে সমুন্নত রাখা কোন বিষয়ই নয় ।
এবার আমরা প্রমান করব মাতৃভাষাকে সব জায়গায় সটীক প্রয়োগ এবং সংরক্ষনের মাধ্যমে । বন্ধুরা শুরু হোক অগ্রযাত্রা আমার দেশীয় অভিধানে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।