আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাকিব, প্লিজ হারিয়ে যেওনা....

আত্মবিশ্বাসহীনতায় প্রকট হচ্ছে আত্মার দেউলিয়াত্ব, তবুও বিশ্বাস আগের মতই নিশ্চল..

সাকিবই বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় যাকে কমপ্লিট একজন খেলোয়াড় মনে হয়। আর এই মনে হঔযা থেকেই আশঙ্কার শুরু। এদেশের ক্রিকেটারদের হঠাৎ ঝলকানি, আর অচিরেই নিভে যাওয়ার দৃষ্টান্ত এত বেশি যে আশঙকাকে অমূলকও বলা যাচ্ছেনা। শুরুটা হয়েছিল মেহরাব হোসেন অপিকে দিয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরিটা করার পর অপিকে রাতারাতি আকাশে তুলে ফেলা হল; সংবাদপ্রতগুলোতে বিশেষণের বিরাট "মঙ্গা" দেখা দিল।

। সেই অপি এখন কোথায়? এরপর তুষার ইমরান। "এ"-দলের হয়ে ভারতের এক সফরম্যাচে ২০২ করার পর তাকে নিয়ে অনেক লেখঅলেখি হল। দু-একটি ওয়ানডেতে ফিফটি করলেও কখনই দলে স্থায়ী হওয়া হয়নি। এরপর মোহাম্মদ শরীফ নামের এক বোলার অভিষেক ম্যাচেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে জিম্বাবুইয়ের অধিনায়ক এলিস্টার ক্যাম্পবেলকে বোল্ড করে বেশ কিছুদিন আলোচনায়ও ছিল।

এখন সে আইসিএল দলেও বোধহয় অনিয়মিত। আরেকজন বোলার ছিল তালহা জুবায়ের। সৌরভ গাঙ্গুলীর বিশেষ পছন্দের বোলার ছিল বলে শুনেছিলাম। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দারুণ বলও করেছিল। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইণ্ডিজের বিপক্ষেও দুর্দান্ত বোলিং করেছিল।

ক্রিস গেইলকে এমন একটা বলে বোল্ড করেছিল যেটা এখনও মনে আছে। নাফিস ইকবাল নামেও একজন ওপেনার ছিল, জিম্বাবুইয়ের সাথে টেস্টে সেঞ্চুরি, অতঃপর বিয়ে, এবং দল থেকে বাদ। এখন তার ফিটনেস চাচা আকরাম খানের মতই হবে বোধহয়। এনামুল হোসেন জুনিয়রকে নিয়েও কম ফিচার লেখা হয়নি। এখন সে বোলিং করছে, নাকি বোলিংই তাকে করিয়ে নিচ্ছে এই দোটানায় আছি।

অলক কাপালীকে অনেক দিন বাংলাদেশের স্টিভ ওয়াহ নামে ডাকা হত। আইসিএল এ তার সাম্প্রতিক ফর্ম হয়ত সবাইকে বুদ করে রেখেছে, তবে তার আগে দেশের হয়ে তার পারফরমেন্স ছিল চরম হতাশাজনক (ভারতের বিপক্ষে ১০৮ রানের ইনিংসটি বাদে)। "অলকের ঝলক", "মিস্টার কুল"...অনেক কিছুই দেখেছি সংবাদপত্রগুলোতে। আর অবধারিতভাবে মোহাম্মদ আশরাফুল! সেই অভিষেক টেস্টের পর থেকে তাকে নিয়ে যত প্রত্যাশা হয়েছে আর হচ্ছে, বিপরীতে প্রাপ্তি চরম হতাশাজনক। ।

। হঠাৎ ১০-১২ ম্যাচ পরে একটি ম্যাজিক ইনিংস খেলা বাদে আশরাফুল শুধু fool ই করে গেছে আমাদের। এর বাইরে নাজিমউদ্দিন, শাহরিয়ার নাফিস, জুনায়েদ সিদ্দিক , প্রত্যেককে নিয়েই হাইপ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে , এবং সবাই ততোধিক দক্ষতায় আমাদের হতাশ করেছে। সবশেষে সাকিব আল হাসান। তাকে বলা হচ্ছে "বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন।

" তার সামর্থ-প্রতিভা নিয়ে আমি সন্দিহান নই, তবে শঙ্কাটা বাড়ছে একারণেই যে আমাদের পুরনো অভিজ্ঞতা কখনোই সুখকর নয়। সবাই-ই কিভাবে যেন হারাধনের ছেলেদের মত একে একে হারিয়ে যায়। অন্তত সাকিব একজন হয়ে টিকে থাকুক এই প্রত্যাশাই করি........ ....................কিছুক্ষণ খেলা দেখে ফিরলাম। একজন ক্রিকেট পাগল হিসেবে তড়িঘড়ি করে না লিখে পারলাম না তাই । কারণ, আনন্দে উদ্বেলিত হওয়ার চেয়ে বাস্তব ভাবনাই আমাকে বেশি ভাবায়।

। । ................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.