আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০'তম পোস্টে নিজের কথা

পাখি এক্সপ্রেস

জীবনকে নিয়ে সিরিয়াস হওয়ার মতো বয়স এখনো হয়নি। রু্ইতন আর হরতনের সিম্বলিক বিকেল অথবা সন্ধ্যার প্রতি মায়া কেটে যাবার চান্সও এখনো হয়নি। যতোবার নিজেকে বাঁধতে চেয়েছি ততোবারই ছিঁড়েছে। এখন নিজেকে খালি ছিঁড়তে চাই। ভালো থাকবো না-কি খারাপ থাকবো তা নিয়ে ভাবতে আগ্রহী নই মোটেও।

এধরণের ভাবনাকে নোংরা বলেই মানি। ভালো থাকতেও রাজি নই, খারাপ থাকতেতো নয়ই। কেবল আমার মতোই থাকতে চাই- থাকিও তাই। পরিবারভুক্ত মানুষগুলোকে দেখলে খুব মায়া হয়। কি সব ভিত্তিহীন সম্পর্ক নিয়ে মেতে থাকে! আবার রাতে পাগলা গোড়ার পিঠে শুয়ে শুয়ে ভাবি- আমার জন্যও বোধহয় তাদের মায়া হয়।

মানব সন্তান কিভাবে জন্ম নেয় তা জানার আগেই প্রাকৃত পিতৃত্বের স্বাধ পেতাম। মমতার স্তরগুলো খুব ভারী ছিলো। কারো সন্তান হিসেবে প্রাপ্তির হিসেব কষে সে ইচড়ে পাকা পিতৃত্বে ভয় চলে আসে। আগুনে পুড়ে মরার মতো অসহায়ত্বে ভুগি তখন। একজন পিতা হিসেবে নিজেকে ভাবতেই চোখ দু'টো ঠেলে বেরিয়ে আসে।

নিজেকে মানসিক রোগি হিসেবে ভাবার আগে একবারও আয়না দেখার প্রয়োজনবোধ করি না। কারণ পাগলের চেহারা খুব জীবন ঘনিষ্ঠ বলে ভয়ানক অশ্লীল দেখায়। স্বাধীনতা অথবা পরিপূর্ণ মুক্তির স্বাদ পেতে নগ্ন হয়ে ঘরে পায়চারি করতে রাজি আছি তবুও আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে রাজি নই। রাতে যা ঘটে- সকালে ঘুম ভাঙার পর মনে পড়লে বিশ্বাস হতে চায় না। নিজেকে তখন মস্তিষ্ক বিকৃত ভাবতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

আমি যে অন্যের জন্য খুবই বিরক্তির কারণ - তা বুঝেও নিজেকে বদলে ফেলার মতো কষ্ট ভোগ করতে চাই না। কারণ আমি কখনোই সবার কাছে প্রিয় থাকাকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবি না। নিজস্ব চাওয়া পাওয়ার হিসেব কষে ফেলেছি অনেক আগেই। এখন কারো থেকে খারাপ কিছু পেলে ইগনোর করি আর ভালো কিছু পেলে নক্ষত্র ভাবি। আমার প্রচুর নক্ষত্র আছে, আমি সুখী।

রাতের সর্বশেষ সিগারেটের স্পঞ্জ পোড়া গন্ধ নাকে আসতেই মাথা খারাপ হতে শুরু করে। কারণ তখনো রাতের অনেক বাঁকি থাকে। সংগ্রহের সংখ্যা বাড়িয়েও কখনো পুরো রাত সিগারেটের সাথে কাটাতে পারিনি। ও শালা আমাকে খুব বেশি করে খেতে পছন্দ করে। এই মুহুর্তে মাত্র ৭টা সিগারেট আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

কয়েকটি টিনের ঘর, দু'টো বড় উঠোন, পাকা ঘাটলার পুকুর, সুস্বাধু জলের টিওবয়েলসহ একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশের কথা চিন্তা করতেই মায়ের কাছে শুনা নরকের দৃশ্য চোখে ভাসে। বিষাক্ত সাপ, আগুন আরো কি কি সব কষ্টের বর্ণনা। ......... হ্যাঙ্গারে ঝুলানো সব ভদ্রতা ওখানেই রেখে পকেটে কতগুলো বসন্ত পুরে নিয়ে মাতাল ছেলের মতো জ্যোৎস্না কিনে ঘরে ফিরবো... এমনই একটি চকলেট অনবরত চুষে খাচ্ছি। এ লেখার কোথায় যেন বলেছি - "এখন কারো থেকে খারাপ কিছু পেলে ইগনোর করি আর ভালো কিছু পেলে নক্ষত্র ভাবি। আমার প্রচুর নক্ষত্র আছে, আমি সুখী।

" ০৭.১২.০৯ রাত ১২.৩৫মি.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.