আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি একাত্তরের রাজাকার কিন্তু সাকা সন্ত্রাসীকে ভোট দেবনা

অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।

আমি একজন রাজাকার। ¯¦াধীনতা যুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির সদস্য ছিলাম। গতবার আমি ধানের শীষে ভোট দিয়েছি।

কিন্ত– এবার আর সেই ভুল কবরবা। কারণ ফকা ( ফজলুল কাদের )চৌধুরীর ছেলেরা কেবল মানুষের বাস গন্ধ খোঁজে। তারা কখনো নিজেদের বাস দেখেনা। ’ রাউজানের প্রাণকেন্দ্র সুলতানপুরের এক চা দোকানে এভাবে নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন সেক্রটারী আলম নামের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সচিব। নির্বাচন যত কাছে আসছে চট্টগ্রাম-৫ রাউজান আসনে ভোটের হিসেব নিকেশ তত জটিল হচ্ছে।

নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ে যাওয়া মহাজোট প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পাল¬ যে ভারী তা অনেকটা দৃশ্যমান। তবে, সচেতন ব্যক্তি ও বিশে¬ষকরা বলছেন, রাউজানে ভোটের ফল নির্ধারণ করবেন নীরব ভোটারা। বিশেষ করে নারী ভোটারের উপর অনেক কিছু নির্ভও করে। তারা বলছেন দৃশ্যত অনেক কিছু মনে হলেও মূলত রাউজানে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

রাউজানে মাত্র এই দুই প্রার্থী ছাড়া আর কোন প্রার্থী নেই। রাউজানের আনাচে কানাচে এখন চলছে জোর প্রচারণা । গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী (গিকা) ও এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী দিনরাত দৌড়াচ্ছেন এবাড়ী ওবাড়ী। দুপুরের পর কোলাহল মুখর এলাকাগুলোতে মাইকের শব্দে কান জালাপালা হওয়ার জোগাড়। ‘ কিসের মহা, কিসের জোট ধানের শীষে দেব ভোট, আর করোনা ফিস ফিস এবার জিতবে ধানের শীষ, খেয়ে পওে বাচঁতে চাই নৌকা মার্কায় ভোট চাই, ইত্যাদি শে¬াগানে মুখরিত বিভিন্ন গুও“ত¦পূর্ণ এলাকা।

রাউজানে এবার ভোটার হয়েছে বেড়ে ২ লাখ ৪ হাজার । গতবার ছিল এক লাখ ৪ হাজার । গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ফজলে করিম ৭৩২৯ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি পেয়েছিলে ৭৪ হাজার ৬৬৯ ভোট আর ৪ দলীয় ঐক্যজোটের গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী পেয়েছিলেন ৬৭৩৪০ ভোট। ৯৬ সালের নির্বাচনে গিয়াস কাদের চৌধুরী ১৪ হাজার ভোট বেশি পেয়ে পরাজিত করে এবিএম ফজলে করিমকে।

কিন্ত– এবার নতুন ভোটারের সঙ্গে নতুন পরিবেশ। ভোটারও কসছে নানা হিসেব নিকেশ । বৃহ®পতিবার রাউজানের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে নানা জনের সাথে কথা বলে নানা মত পাওয়া গেছে। একাধিক ভোটার বলছেন, গিকার শিবির থেকে টাকা ছাড়া হচ্ছে। নুরুল আলম নামের একজন বললেন শুনেছি ধানের শীষ টাকা দিচ্ছে।

তবে তিনি নিজে টাকা পাননি বলে জানান। হামিদ নামের এক ব্যাক্তি বললেন ধানের শীষের মিছিলে গেলে টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তবে, তিনি টাকার আশায় নৌকা ও ধানের শীষের দুই মিছিলে যাচ্ছেন। দৃশ্যমান প্রচারণা , প্রতিপক্ষ টাকা ছাড়ছে এই কথা ব্যাপক ভাবে প্রচার হওয়া, মানুষের প্রকাশ্য সমর্থন সবমিলিয়ে দৃশ্যত এগিয়ে আছেন মহাজোটের এবিএম ফজলে করিম। কিন্ত– সচেতন এবং অভিজ্ঞতা স¤পন্ন কয়েকজন জানালেন, ফজলে করিম এগিয়ে থাকলেও ভোটের হিসেব ভিন্ন।

তারা বললেন, দেখা যাচ্ছে ধানের শীষের গণসংযোগে মানুষ কম কিন্ত– এটা ভোটের কোন হিসেব নয়। কারণ গত নির্বাচনে নৌকারও এই অবস্থা ছিল । কিন্ত– শেষ পর্যন্ত জয়ী হয় নৌকাই। তাছাড়া ধানের শীষের ভোটাররা মুখ খুলছেননা। আর আগে দেখা গেছে বেশিরভাগ নারী ভোটাররা ধানের শীষকে বেচে নিয়েছে।

আবার লোকজন বলছেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ফজলে করিম অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছিলেন। এসব মানুষ হিসেব করছে। নুরুল ইসলাম নামের এক টেক্সি চালক বলেন, তিনি গতবার ধানের শীষে ভোট দিয়েছিলেন। এবার দেবেননা। কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ফজলে করিম আওয়ামীলীগের সময় অনেক কাজ করেছেন এবং এবার জোর নৌকার পক্ষে ।

অন্যদিকে, রাউজানে মহাজোটের মনোনয়ন পেয়েও শেষ পযন্ত প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু। তিনি আওয়ামীলীগের কোন সভায় যাচ্ছেননা। এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির নেতা মেজবাহ উদ্দিন আকবর জানান, আমরা মহাজোটে আছি । তবে, জিয়াউদ্দিন বাবলুকে ফজলে করিম বা আওয়ামীলীগ ডাকছেনা বলে তিনি কোন সভায় যাচ্ছেননা। রাউজানে সরেজমিনে গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে দৃশ্যমান প্রচারণায় ফজলে করিম এগিয়ে থাকলেও ধানের শীষের ভোটররা নীরব।

ফলে রাউজানে ভোটের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।