১৯৯৮ সালের ৩০ নভেল্ফ^র দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার লিড নিউজের শিরোনাম ছিল ‘পেঁয়াজ বোমা’। খবরের ভেতরে ছিল দেশের বিভিল্পু স্ট’ানে ৫২ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিকিদ্ধ হচ্ছে। তার কিছুদিন আগে নভেল্ফ^রেই সংসদে দ্রব্যমহৃল্য নিয়ে আলোচনা চলছিল, বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম নিয়ে। তৎকালীন বাণিজ্যমল্পúী ও আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ দাঁড়িয়ে বললেন, ৩২ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিকিদ্ধ হচ্ছে। অধিবেশনে সভাপতিÍ^করছিলেন তৎকালীন ডেপুটি ¯িক্সকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ।
তিনি বললেন, ‘মাননীয় মল্পúী আমি কিল্পøু সকালে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ
কিনেছি। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবির) রিপোর্ট অনুযায়ী, ’৯৬ সালে বিএনপি সরকার যখন দায়িÍ^ ছাড়ে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ মতাসীন হয় তখন পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮ টাকা। ’৯৮ সালে সবোর্চ্চ দর ছিল ৫৬ টাকা কেজি। ১৯৯৮ সালের ১৩ নভেল্ফ^র মানবজমিন পত্রিকার শিরোনাম ছিল ‘চট্টগ্রামে পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি’। রিপোর্টে বলা হয়, পেঁয়াজের দাম সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
চট্টগ্রামের বাজারে এখন বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৫ টাকায়। সপ্টøাহকাল আগে এর দাম ছিল ৫০/৫৫ টাকা কেজি। এদিকে কক্সবাজার থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, সেখানে দোকানিরা পেঁয়াজের দাম হাঁকাচ্ছেন প্রতি কেজি ৯০ টাকা।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের প থেকে নির্বাচনী প্রচারে বলা হচ্ছে, ‘আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে আগের মতো ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানো হবে। ’ অথচ সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারের কাছ থেকে যখন আওয়ামী লীগ যখন দায়িÍ^ নেয়, তখন মোটা চালের কেজি ছিল ১০ টাকা।
কিল্পøু আওয়ামী লীগ আমলে অধিকাংশ সময় সেটা ১৫/১৬ টাকা কেজি ছিল। ’৯৭ সালে সর্বোচ্চ ২৪ টাকা কেজিতে মোটা চাল বিকিদ্ধ হয়েছে।
১৯৯৮ সালের ২৬ আগ¯ল্ট, দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার খবরে বলা হয়, ‘বিগত দু’বছর আগের ১০ টাকার বোরো চাল বিকিদ্ধ হচ্ছে ২৬ টাকা দওে এবং ৮ টাকার আটা ১১-১৩ টাকা দরে। এর আগে ১৯৯৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মানবজমিন পত্রিকার শিরোনাম ছিল, ‘চালের দাম আরো বেড়েছে। ’ খবরে বলা হয়, ‘সারাদেশে চালের দাম আরো একদফা বেড়েছে।
দণিাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে চালের দাম সার্বোচ্চ। মোটা ইরি চালের দাম সাড়ে ১৫ টাকা কেজি। ঢাকায় দামে কমতি নেই। নিল্ফুমানের মোটা চাল বিকিদ্ধ হচ্ছে ১৫ টাকা। খাদ্য অধিদফতর সহৃত্র জানায়, গতকাল ভোলায় নিল্ফুমানের মোটা
ইরি চালের দাম ছিল সাড়ে ১৫ টাকা, খুলনায় ১৫ টাকা।
ঢাকায় মোটা, ইরি চাল বিকিদ্ধ হচ্ছে ১৫ টাকা। ’
এভাবে চাল, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ১০টি পণ্যের ’৯৬ থেকে ২০০৮ পর্যল্পø সর্বোচ্চ ও সর্বনিল্ফু মহৃল্যের একটি তালিকা সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবি তৈরি করেছে। পাশাপাশি তিনটি পত্রিকা মানবজমিন, ইনকিলাব ও ইত্তেফাকে তখন প্রকাশিত বাজারদরের বেশ কিছু খবর এ প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়েছে। এতে ¯ক্সদ্ব, শেখ হাসিনার শাসনামলে যেখানে অধিকাংশ সময় চালের কেজি ১৩-১৬ টাকা ছিল সেখানে ৮ বছরের মাথায় বর্তমানে নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগ তথা দলীয় সভানেত্রী তার আগের রাজÍ^কালের মতো ১০ টাকা কেজিতে আবারো চাল খাওয়াবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি
দিচ্ছেন, তা বাস্টøবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। এছাড়া তখনকার চালের মহৃল্য নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে তা ভুল বা মিথ্যা।
আওয়ামী লীগের প থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শাসনামলে বিভিল্পু দ্রব্যমহৃল্যের তুলনামহৃলক চিত্র দিয়ে যে পো¯ল্টার ও লিফলেট প্রচার করা হয়েছে তাতে দেয়া তথ্যও ভ্রাল্পø।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, ’৯১-৯৬ পর্যল্পø খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে দ্রব্যমহৃল্য যা ছিল, সে তুলনায় ৯৬-২০০১ সময়ে শেখ হাসিনার শাসনামলে বেড়েছে। একইভাবে ২০০১-২০০৬ সময়ে খালেদা জিয়ার শাসনামলে সেটা আরো কিছুটা বেড়েছে। যদিও খালেদা জিয়ার ™ি^তীয় শাসনামলে দ্রবমহৃল্যের বিষয়টি আওয়ামী লীগের প্রপাগান্ডার কারণে অনেক বেশি প্রচার পায়। কিল্পøু গত দু’বছরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান তত্ত্বাবধায়কের আমলে টিসিবির হিসাব অনুযায়ী ১৭ টাকার মোটা চাল ৩৫ টাকায়, ২২ টাকার আটা ৪৫ টাকা, ৭০০ টাকার গুঁড়োদুধ ১৩৩০ টাকা, ২৭ টাকার চিনি ৪৩ টাকা, ৪৮ টাকার ভোজ্য তেল ১২২ টাকা কেজিতে, ১৩ টাকার পেয়াজ ৩০ টাকা, ৪৫ টাকার মসুর ডাল ১১০ টাকা, ৬ টাকার আলু ১৮ টাকা কেজিতে বিকিদ্ধ হয় তখন বিএনপি শাসনামলের দ্রব্যমহৃল্য নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রপাগান্ডা আর ধোপে টেকেনি।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।