আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঙ্গালের জন্য হাইকোর্ট আর গুগলের জন্য বাংলা : ইন্টারনেটে অবাক বাংলার প্রকোপ

সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com

বাংলা ব্লগের জগতে মেলা শব্দ নতুন করে ঢুকছে। কিন্তু কেউ কি জানাতে পারেন, অনুকূলকরণ মানে কী? সম্পাদনাগুলো সাফ করুন কথাটা দিয়ে কী বুঝায়? সরঞ্জাম দণ্ড জিনিশটা কী? ইন্টারনেটে উপলভ্য হবে মানে কী ঘটনা ঘটতে পারে? পার্শ্বদণ্ড জিনিশটা কী? চয়ন করুন কি স্বাভাবিকভাবে কেউ ব্যবহার করেন? তারিখ শিরোলেখ বিন্যাস জিনিশটা কী হইতে পারে? মন্তব্য পরিমিত জিনিশটা আসলে কী? এবার একটা লাইন পড়েন, 'পরিষেবা মারফত পোস্ট করা যে কোনও কথোপকথনকে Google অনুমোদন, সমর্থন, উপস্থাপন করে না অথবা সত্যতার গ্যারেন্টি, যথার্থতা অথবা নির্ভরযোগ্যতা দেয় না অথবা পরিষেবা মারফত যে কোনও মতামতকে অনুমোদন করে না৷ আপনি যানেন যে পরিষেবা মারফত পোস্ট করা যে কোনও উপাদনকে আপনি আপনার নিজের ঝুঁকিতে বিশ্বাস করবেন৷' বাংলাদেশে ব্লগার ডটকম এবং ওয়ার্ডপ্রেস খুব জনপ্রিয়। বলতে গেলে ফেসবুক ইয়াহু গুগলের পরই এই দুটি ব্লগ টুলের অবস্থান। আমিও ২০০৪/২০০৫ থেকে এগুলোতে টুটাফাটা ব্লগ খুলছি।

এখন ২০০৮। ব্লগে ব্লগে অনেক পোস্ট গড়িয়ে গেছে। মজার ব্যাপার গুগল তার পণ্যগুলোকে বাংলা করছে। সেদিন হঠাৎ করে ব্লগারে লগইন হয়ে বাংলা ভার্সনের শিকার হয়ে গেলাম। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র থেকে শুরু করে কমলকুমার মজুমদার বহু বাংলা শুনছ।

ব্লগারের বাংলা বুঝতে আবার ভাষা চেঞ্জ করে ইংরেজি দিয়া ঢুকতে হইলো। মনে মনে কইলাম, হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন। এই বিবিধ রতনের মধ্যে কোনো এক রতম মনে হয় এইগুলা বাংলায় অনুবাদ করছে। গুগলের ইংরেজি বুঝতে আজতক ডিক্সেনারি দেখতে হয় নাই। কিন্তু বাংলা বুঝতে পুরানা ডিক্সেনারি লাগবে এইটাতে কোনো মাফ নাই।

হোমপেজের বাংলা নীড়পাতা শুনছি। শুনে অবাক হই নাই। কারণ পাখি নীড় পাতে। নীড়পাতা মানে পাতার তৈরি নীড়। অথবা নীড় বানানো।

ভুল কইরা এইটাকে হোমপেজ বলা যায়। কিন্তু গুগলে বাংলা দেইখা আবারও পাঠশালায় যাওয়ার ইচ্ছা হইতেছে। ইন্টানেটে ব্লগিংয়ের মতো একটা স্মার্ট জিনিশরে অনুবাদগুণে একেবারে ঠাকুরদার আমলে জিনিশ বানানো হইছে। সাধু বাংলা, চলতি বাংলার পর নতুন এই ইন্টারনেট ভাষার নাম দেয়া যায় অবাক বাংলা। ব্লগে তো অনেক টেকগুরু আছেন।

গুগলে মনে হয় কাজও করেন অনেকে। তারা কি জানাইতে পারেন এই অবাক বাংলার উদ্ভাবক কে? নামটা জানলে আমরা বিদ্যাসাগর, রামমোহনের পর তার নামটা বসায়ে নিতে পারতাম।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।