হত্যা করেছি নিজেকে...এখন শুধু পাপ বয়ে বেড়াচ্ছি
আমার আপা বেশ সহজ সরল। যে যা বুঝায় তাই তিনি বুঝেন। আপা ঢাকা থেকে দুরে থাকে বলে উনার সাথে তেমন দেখা হয় না। আপার বাসায় বেড়াতে গেলাম। আপার সকল আচরণই আমার জানা, কিন্তু এবারেরটা একটু ভিন্ন মনে হচ্ছে।
সারাদিন জার্নি করে এসে আমার মাথাটা বেশ ধরেছে, আপাকে জানালাম আপা বললেন প্যারাসিটামল খা। প্যারাসিটামল খেয়ে ঘুম দিলাম। ভাগ্নী আসলো কলেজ থেকে, আমরা দুজনে কথা বলছি হঠাৎ আপা এসে ভাগ্নীকে বললো এই নে প্যারাসিটামল খা তোর না সকালে মাথা ব্যথা ছিলো! দুলাভাই কাজ থেকে এসে বললেন আজ শরীরটা ভালো লাগছে না একটু রেস্ট দরকার,আপা ওমনি প্যারাসিটামল নিয়ে হাজির, জোর করে দুলাভাইকে খাইয়ে দিলো। আমি আস্তে আস্তে বুঝলাম আপার মাথায় ঢুকে গেছে এই প্যারাসিটামল, যা কিছু হোক না কেন প্যারাসিটামল খেলেই সেরে যাবে! ভাগ্নী আরো মজার তথ্য দিলো পাশের বাসার কার যেন ক্যান্সার হয়েছে, আপা গিয়েছিলো দেখতে সেখানে গিয়ে না কি রোগীকে বলেছে 'আপনি প্যারাসিটামল খেয়ে দেখতে পারেন, সেরে যাবে'! একদিন আমি মজা করার জন্য আপাকে বললাম আপা আমার না বুকে খুব ব্যথা হচ্ছে মনে হয় আমি মারা যাবো, আপাতো কান্নাকাটি করতেছে, কি করবে বুঝে উঠছে না, বলছে 'ভাই আমার কেন এমন হলো?' আমি বললাম 'আপা জানি না আপা আমাকে বাচাও আপা' আপা তাড়াহুড়া করে কোথায় যেন গেলো আমি ভেবেছি ডাক্তার আনতে গেছে, একটু পর দেখি প্যারাসিটামল নিয়ে হাজির, তাড়াতাড়ি করে আমাকে খাইয়ে দিলো! আর বললো প্যারাসিটামল নাকি শেষ হয়ে গেছে তাই তাড়াতাড়ি করে পাশের বাসা থেকে নিয়ে এসেছে। আমি আর আমার ভাগ্নী হেসেই খুন।
দুলাভাই বাজারে গেছে, আপা আমার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে দুলাভাইকে ফোন দিলো আর বললো 'এই শুনো আসার সময় কিন্তু ৫ পাতা প্যারাসিটামল নিয়ে এসো, বিপদ আপদের কথাতো বলা যায় না'। আমি অবাক!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।