নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে প্যরাসিটামল শুধু শারীরিক ব্যথাই উপশম করে না পাশাপাশি মানসিক যন্ত্রনা থেকেও মুক্তি দেয়।
স্নায়ু বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেন যে, মানুষের মস্তিষ্কের যে জায়গা থেকে বিভিন্ন শারীরিক ব্যথার সৃষ্টি হয় ঠিক সেই জায়গা থেকেই সৃষ্টি হয় মানসিক যন্ত্রনা। তাই উভয় যন্ত্রনার জন্য উপশম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে প্যারাসিটামল।
তারা আরেও দেখেন, কেউ মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্যারাসিটামল উপশম হিসেবে কাজ করে।
ক্যালির্ফোনিয়া ইউনির্ভাসিটি ৬২ জন মানুষের উপর তিন সপ্তাহের এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে গবেষকরা।
টাইলিনল (এক ধরনের আমেরিকান প্যারাসিটামল) প্রতিদিন রাতে যারা একবার সেবন করেন তাদের মন ভালো রাখার জন্য অন্যান্য ওষুধের চেয়ে বেশি কার্যকরী।
গবেষণায় দেখা যায়, মন ভালো রাখার জন্য অন্যান্য ওষুধের চেয়ে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ বেশি কার্যকর। যারা প্রতিদিন দু’টি টাইলিনল বা ১ হাজার মিলিগ্রাম বেদনাশক ঔষধ ব্যবহার করেন তারা মন ভালো রাখার ঔষধের চেয়ে বেশি স্বস্তি বোধ করেন।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, এতে উল্ল্যেখযোগ্য হারে মানসিক ব্যথা উপশম হচ্ছে।
আরও কয়েকটি পরীক্ষায় অনেককে কম্পিউটারে গেম খেলতে দেওয়া হয়।
এতে দেখা যায় তারা অনেক ধরনের মানসিক যন্ত্রনা থেকে সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছেন।
তাদের উপর সেই সময়ে একটি ব্রেইন স্ক্যানও করা হয়। সেই স্ক্যানে দেখা যায়, মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রনার উৎপত্তিস্থল একই জায়গা।
এতে বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের মধ্যে শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রনার একটি সংযোগ দেখতে পান।
একদল মানুষ যারা প্রতিদিন যন্ত্রনা নিরশক ওষুধ খেয়ে থাকেন তাদের উপর একটি পরীক্ষা চালান।
দেখা যায়, যারা মন ভালো রাখার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন তাদের চেয়ে যারা প্যারাসিটামল খান তারা বেশি উপকৃত হয়েছেন।
নাইয়োমি আইসেনবার্গ নামে একজন সামাজিক মনোবিজ্ঞানী বলেন, কাউকে খারাপ কোন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে বললে দেখবেন তিনি কোন দল বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে এমন কারও থেকে দূরে সরে আসার কথা বলেন। কেননা এই কারণে তার মন খারাপ থাকে। অর্থাৎ যার থেকে শারীরিকভাবে সরে আসা হয় তাতে মানসিক বেদনাও বাড়ে। এজন্য শারীরিক ও মানসিক ব্যথা একে অপরকে ওভারল্যাপ করে।
তাই মানসিক ও শারীরিক ব্যথার উৎপত্তিস্থল এক বলেই প্যারাসিটামল সেবনে একের ভিতর দু’কাজ হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।