কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
এই পুস্টে নতুন কিছু নাই । পুস্টখান অনেক বড় হৈয়া গ্যাছে । তাই যারা পড়তে চান না তাদের জইন্য মূল কথা বৈলা দিই । "যৌবনজ্বালায় চটি পুস্ট কৈরা পিয়ালদা কোনো অনুচিত কাজ করেন নাই । তবে বাঙালির সমাজ-মানস বিচারে এটা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংক্রান্ত আন্দোলনে ঋণাত্নক প্রভাব ফেলবে ।
---------------------------------------------------
অমি রহমান পিয়ালের সাথে আমার পরিচয় , মানে কমেন্টাকমেন্টির পরিচয় বেশ বিশ্রীভাবে । আমি তখন সামু থেকে বিতাড়িত । আমার-ব্লগের মুক্ত হাওয়ায় গিয়া সবে দেখতাছি, কি করিলে কি হয় । বাংলা বলগের জগতেই নতুন । খাবি খাইতে খাইতে শিখতাছি ।
এরই মইধ্য সোফিসতিকেটেদ আনসোফিসতিকেতেদ না বুইঝা উনার এক পুস্টে পাকনামি পূর্ণ মন্তব্য কৈরা পড়লাম তীব্র গালির মুখে ।
পিয়ালদা তখন আমারব্লগে অগ্নিপুরুষ নামে আগুন ছড়াচ্ছেন । তখন পর্যন্ত আমি ধরে নিয়েছিলাম জাঁদরেল ব্লগাররা সাধারণত একাধিক নিক নিয়া ব্লগান না । তাদের নামের আলাদা একটা ভার আছে । সামুতে যত পুরান তত উপরে ।
খামাখা নিচের দিকের একটা নিক কেন ।
অগ্নিপুরুষ নিকটা যে তার সেটা ঐ কমেন্টানির ঘটনার সময় জানতাম না । পুস্টটা যদ্দুর মনে পড়ে আউট ইসপোকেন নাস্তিকদের বিরুদ্ধে । দুইটা ব্যাপারে আমার চুলকানি উঠছিল । এক প্যাসকেলের ওয়েজার দুই বাংলা বলগের নাস্তিকরা খালি ইছলাম লৈয়া পইড়া থাকে ক্যান সেইটা নিয়া আবালীয় চক্করবক্কর ।
গালির তোড়ে সেইবার আমি বেশিক্ষণ টিকতে পারি নাই । উনি কুনো কথাই শুনতে চান নাই । গালি ব্যবহারের পক্ষেই ছিলাম , এখনও আছি । তবে কথার ফাঁকে গালির । শুধু গালির না ।
পরে ফারুক আহসান নামে নতুন একখান নিক নিয়া যখন একটা সিরিজ শুরু করলাম, তখন বুঝলাম ইনিই সেই অগ্নিপুরুষ ।
মূল্যবোধ বইলা যে জিনিসটা সমাজরে ধইরা রাখে তার মূল উৎস হইল ধর্মীয় অনুশাসন । এইটা ছিল পিয়ালদার অগ্নি পুস্টের বক্তব্য । বাংলা চটি আসলে কোন মূল্যবোধের চিহ্ন সেটা নিয়া আমার অবাক বিস্ময় এখনো কাটে নাই । তিন/চাইরটা ভাষার চটি আর হাজার হাজার পর্ণো ওয়েবসাইট ঘুরার অভিজ্ঞতা নিয়াও বাংলা চটি আজও আমি হজম করতে পারি নাই ।
ইনসেস্ট এরও যে মাত্রাভেদ আছে সেটা বাংলা চটি না পড়লে অজানা থাইকা যাইত ।
যৌবনজ্বালায় ঢুকছিলাম দুইদিন । অন্য কোনো ফোরাম থাইকা লিংকের পর লিংক পার হৈয়া । আমার পর্ণো দেখা অনেকটা বৈচিত্রহীন । থ্রিমোভস অথবা ব্যাংব্রস থাইকা ২০/৩০ সেকেন্ডের প্রিভিউ ক্লিপ পর্যন্ত ।
পর্ণো দেখা বা বানানো নিয়া আমার বিন্দুমাত্র ভ্রুকুচকানি নাই । কিন্তু ধর্মহীন হৈলেও যে মেয়ে ভালবেসে প্রেমিকের জন্য সব দিতে পারে সে দুধ খুলে দিলে সেইটা ক্যামেরায় নিয়া সবাইরে বিলানোর ভিতরে ঠিক কোন উদ্দেশ্য থাকলে সেটা বৈধ বা অন্তত বিনাইন হয় তার মাপ করার আগেই সেটা থেকে বিরত থাকতে আমার মূল্যবোধ আমারে বলে । হয়ত উদ্দেশ্যের জোর আমার প্রবল না ।
শওকত ওসমানের সৌদামিনি গল্পের পাদ্রি তেল চোরাকারবারী জাতীয় কিছুতে ধরা পড়ে কোর্টে বলে , উদ্দেশ্য দিয়াই উপায়ের বিচার করা উচিৎ , আমি চুরি করিয়াছি উক্ত অর্থে ভিক্ষুকদিগের আহার দিবার জন্য । জগতের বড় বড় সকল নষ্টরা যারা যে যেদেশে যেসময়ে পারছে দুনিয়ার ইতিহাস, মানুষ , দেশ সবকিছুরে চুইদা সর্বনাশ কৈরা রাইখা গেছে , তাদের সবারই সামনে একটা মহৎ উদ্দেশ্য ছিল ।
হিটলার স্টালিন মাও পলপট ইদি আমিন সাদ্দাম মিলেসোবিচ , কারোরই উদ্দেশ্য কম মহৎ ছিল না । সবাই উপায়ের দায়ভার উদ্দেশ্যের উপর চাপাইয়া গেছে ।
তবে উদ্দেশ্য কতটার বেশি মহৎ হলে এবং উপায়ের ক্ষতির পরিমান কতটার কম হৈলে সেটা একটা গ্রহনযোগ্য কম্বিনেশন হৈব সেইটা নিয়া শেষ কথা বলা খুব কঠিন । কিন্তু পেটুক রাক্ষসের মত মুখ দিয়া লেন্জা খাওয়া শুরু করলে , অর্থাৎ উপায়ের ক্ষতি যদি উদ্দেশ্যের বাস্তবায়নে বাধা শুরু করে তাইলে তো সেই কম্বিনেশন এর পাগলামি নিয়া সন্দেহ থাকে না ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের অন্তত ৮০ ভাগের বেশি মানুষ ডেসপারেটলি না চাইলে হৈব না কুনোদিন ।
সেই আশিভাগের সেক্স নিয়া জড়তা, ভন্ডামি , কপট ঘৃণা যাই থাক , সেসব যত আবালীয় আর হাস্যকর , আমার মত কঠিন ঘ্যায়ানিরা মনে করুক , তত্ব এক জিনিস আর বাস্তব উপাত্ত আরেক জিনিস ।
পরবলেম না কি উচিৎ আর কি অনুচিত সেটা নিয়া । পরবলেম টা কি করিলে কি করা যাইব না সেইটা নিয়া ।
ব্যাক্তির ব্যাক্তিগত অসততা , তার প্রস্তবনার সত্যতার উপর কুনো প্রভাব ফেলে না, এইটা অনেক চিল্লাইয়াও পাব্লিকরে বুঝানো যায় নাই । কুরাবানির মাংস খাইবা আবার কুরবানির সমালুচনা করবা এইটা বৈলাই পাব্লিক যুক্তিতে হারাইয়া দিছে ।
সেই একই খড়গ যুদ্ধাপরাধিদের বিচারে নাইমা আসলে তারপরও আমি খুশি হৈতে পারি না কারণ এই বিচার আমারও তীব্র চাওয়া । ইনসেস্ট চটি পুস্ট করলে যে যুদ্ধাপরাধিদের অপরাধ হালাল হৈয়া যায় না তা ১০০ ভাগ যৌক্তিক কথা । সেইটা বুঝানো এখন নিজেকে থেকেই শুরু করা দরকার মনে হয় । আমজনতারে বুঝাইতে গেলে আরো ১০০ বছর লাইগা যাইব । বাঙালি নারীবাদ নিয়া তেমন জানে না কারণ তসলিমা রাস্তায় দাঁড়াইয়া মুততে চায় ।
ভালোমানুষ প্রার্থীরে ভোট দেয় না কারণ সে আটকুঁড়া, পুলাপাইন হয় না ।
পিয়ালদা অনেক উগ্র । বুইঝা না বুইঝা অনেক কিছু হুট করে বলে ফেলেন । উনার অনেক পুটকিজাত থিওরী আছে, যেমন নাস্তিকরা জামাতের বিরোধীতা করে কেবল জামাত আস্তিক এই কারণে, যুদ্ধাপরাধ কিংবা দেশপ্রেম নিয়া তাদের মাথাব্যাথা নাই ।
তারপরও...
"প্রবল আর্থিক স্ট্রাগলের সময়ও পিয়াল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় , চাকুরির অনিশ্চয়তার মাঝে দাড়িয়েও পিয়াল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় , নিজের সন্তানের জন্মের আনন্দ মুহুর্তেও পিয়াল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় ।
এই বিচার বিচার করতে করতে লোকটার মাথা প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে । "
আরিফ জেবতিকদার এই কথার পর আমার সব ক্ষোভ মিশে পানি হয়ে যায় ।
কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে যে যৌবনেরজ্বালা পিছিয়ে দেয় সেটা নিয়া সন্দেহ নাই । আবারও বলি ব্যাপারটা উচিৎ অনুচিৎ এর না । ব্যাপারটা বাঙালির ধরণের বাস্তব উপাত্তের কারণে ।
জামাতের কথাও , অন্তত এই জাতীয় সুড়সুড়িপূর্ণ বিষয়ে বিশ্বাস করবে সেই ধরণের পাব্লিকের সংখ্যা বাংলাদেশে কম না । তাদের অনেকেই জামাতের সমর্থক না । এইটা হৈছে হিতে বিপরীত । তাদের গায়ে জামাতের ট্যাগ লাগানো নাই দেইখা তারা যখন দ্বিতীয় ধাপে রিলে করবে তখন পাব্লিকের কাছে সেটার গ্রহণযোগ্যতা ১০০ ছুঁইছুঁই করবে ।
ভুল করার জন্য বড় কিছু হওয়ার দরকার লাগে না, স্বীকার করতে পারার জন্য লাগে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।