বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে সব কিছুকেই ছোট করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। তেমনি ভিডিও প্রজেক্টরকে ক্ষুদ্র রূপ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। ভিডিও প্রজেক্টরকে আরো বহনযোগ্য করে তোলার জন্যই শুরু হয়েছে এ গবেষণা। হয়তো সেদিন খুব দূরে নয়, যেদিন আপনার বহনযোগ্য ডিজিটাল ক্যামেরা, মিডিয়া প্লেয়ার কিংবা ফোনেই থাকবে এ প্রজেক্টর। ড্রেসডেনের গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রানহফার ইনস্টিটিউট ফর ফটোনিক মাইক্রোসিস্টেমস [আইপিএমএস] এবং জেনায় অবস্থিত ফ্রানহফার ইনস্টিটিউট ফর অ্যাপ্লাইড অপটিকস অ্যান্ড প্রিসিশন ইঞ্জিনিয়ারিং আইওএফ, ক্ষুদ্রাকৃতির প্রজেক্টরের জন্য কাজ করে চলেছে।
প্রচলিত প্রজেক্টরে ব্যবহৃত ক্ষুদ্র অ্যারের পরিবর্তে, এখানে ব্যবহার হয়েছে নতুন ধরনের একক এবং ক্ষুদ্র আয়না বা দর্পণ যা দুই অক্ষ বরাবর ঘুরতে সক্ষম। ফলাফল চিনির দানার আকৃতির ভিডিও প্রজেক্টর, প্রজেক্টরের আকৃতি ছোট করার প্রথম ধাপ ছিল এর বাহ্যিক গঠন ছোট করা। বিশেষ করে মাইক্রো মিরর অ্যারে যা মিলিয়ন সংখ্যক দর্পণ নিয়ে গঠিত তার আকৃতি ছোট করা। এ জন্য এর পরিবর্তে ব্যবহার হলো দর্পণ। আলোক উৎসের অভিমুখী বা বিপরীতমুখী হয়ে উৎপন্ন করা হলে আলো বা অনধকার পিক্সেলের যারা একত্রিতভাবে প্রজেক্টে ইমেজ তৈরি করে।
শুধু যে অ্যারের পরিবর্তন করা হলো তাই নয়, বরং এর দামও অনেকাংশে হ্রাস করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপ হলো আলোক উৎস, কেননা এটিও প্রজেক্টরের আকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে। যদি প্রজেক্টরকে ছোট করে চিনির দানার আকৃতি দেয়া হয় তাহলে এতে প্রচলিত উচ্চ চাপের ল্যাম্পের পরিবর্তে ক্ষুদ্র ডায়োড লেজার ব্যবহার হবে। প্রজেক্টরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ডায়োড লেজার হলো লাল, সবুজ ও নীল। লাল ও নীল ডায়োড লেজারের আকৃতি ছোট হলেও সবুজটির আকৃতি বড়।
বর্তমান প্রযুক্তি যে আরজিবি প্রজেক্টর গ্রহণ করছে তার পার্শ্বিক দৈর্ঘ্য ১০, প্রস্থ ৭ এবং উচ্চতা প্রায় ৩ সেন্টিমিটার। যদিও এটি চিনির কণার তুলনায় অনেক বড়, তবে সাধারণ প্রজেক্টরের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ। আলোর উৎস এবং লাল ও নীল ডায়োডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবুজ ডায়োডের আকৃতি কমিয়ে ফেলার গবেষণা হচ্ছে, তাই অদূর ভবিষ্যতে চিনির দানার আকৃতির প্রজেক্টর দৃশ্যমান হওয়া অবাস্তব কিছু নয়।
এ ধরনের গবেষণায় সফল হওয়া গেলে অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রচুর লাভবান হবে। যেমন অটোমেটিক ইন্ডাস্ট্রি সেন্সর হিসেবে ক্ষুদ্রাকৃতির এবং সহজলভ্য লেজার অ্যারে ব্যবহার করতে পারবে যা পার্কিং করা গাড়ি এবং কাছাকাছি অবস্থিত কোনো বস্তুর দূরত্ব সহজেই মাপতে পারবে।
এ ধরনের সেন্সর রোবট এবং ইনস্টেলেশন প্রযুক্তিতেও ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া ডিজিটাল প্রজেক্টরের সমন্বয়ের দরুন একে মোবাইল যন্ত্রেও ব্যবহার করা যাবে, যেমনটি করা হয়েছে ল্যাপটপ কিবা পিডিএতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।