লিখি কবিতা, শুনি গান
উত্তরাঞ্চলের সেই ঝাকরা চুলের বাবরি দোলানো বাউলমনা প্রতিভাবান শিল্পী সাজু আহমেদ সরকার। সংগীত তার প্রাণ, সংগীত তার ধ্যান। সাজু সংগীতের প্রতিভাবন নিয়ে ডানা মেলে উড়ে যেতে চান অনেক দূর। সাজু সেই মনোভাব দিক নিয়ে ক্লোজআপ ওয়ান' ২০০৮ প্রতিযোগীতায় নাম লিখেছিলেন ক্লোজআপ ওয়ানে। শুরু থেকে ভালো ভালো গান গেয়ে মন কেড়ে নিয়েছে ক্লোজআপ ওয়ানের দর্শক শ্রোতাদের।
কিন্তু বাদ পড়া লিজাকে বানিয়েছে ক্লোজআপ ওয়ান, অপু'কে- ১ম রানার্স আপ। সাজু' শুরু থেকে ভালো ভালো ফলাফল পেয়েছে কিন্তু এনটিভি ও ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষের অনিয়ম আর দূর্বলতা এবং ৩ বিচারকের পেশীশক্তির কারণে সাজু'কে বানিয়েছে ক্লোজআপ ওয়ান- ২য় রানার্স আপ।
কিছু কথা .......?
এনটিভি ও ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষের অনিয়ম আর দূর্বলতা এবং ৩ বিচারকের পেশীশক্তির প্রতিচ্ছবি.......?
" নুন খাই যার গুণ গাই তার; দশের লাঠি একের বোঝা" আসলে কথাগুলো মিথ্যে। মিথ্যে যদি না হয় তাহলে এনটিভি ও ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষের অনিয়ম আর দূর্বলতা এবং ৩ বিচারকের পেশীশক্তি জনগণের পাঠানো ভোটের প্রতি অবহেলা পোষণ করে বিচারকরা বার বার তাদের
প্রিয় প্রতিযোগিকে মঞ্চে রাখতে যদি প্রত্যাবর্তন রাউন্ড করতে পারে তাহলে তো পূর্ণ, বাপ্পীসহ বাদপড়া অন্যসব প্রতিযোগিদের জন্য সহানুভূতিশীল রাউন্ড করতে পারত, কিন্তু তা করা হয়নি। গত ফাইনাল রাউন্ডের জন্য যে ৪ জন প্রতিযোগি গান গেয়েছে তাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে কম নাম্বার পেয়েছে লিজা।
কিন্তু লিজা এনটিভি ও ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষের অনিয়ম আর দূর্বলতা এবং ৩ বিচারকের পেশীশক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে এবং স্বজনপ্রীতির নির্লজ্জ উদাহরণ সৃষ্টি করে আউট হওয়ার পরেও লিজাকে ফাইনাল রাউন্ডে যাওয়ার জন্য সুযোগ দিয়ে বিচারকরা প্রকাশ করেছে তারা নিরপেক্ষ নয়।
ফাইনাল রাউন্ডে ৩ বিচারকদের দেয়া নম্বর ও পক্ষ পাতিত্বমূলক আচরণ দেখেই বুঝা যায় ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় কি রকম অনিয়ম হয়েছে। পছন্দের প্রতিযোগিকে ক্লোজআপ ওয়ান করতে বিচারকরা এমনভাবে মন্তব্য ব্যক্ত করেছেন যা শুনে মনে হয়েছিল ওনারা ৩ জন ছাড়া দেশের সবাই জ্ঞানহীন শিশুবাচ্চা। ফাইনাল রাউন্ডে ইমতিয়াজ বুলবুল সাহেব দেহভঙ্গিমা ও হেলেদুলে নেচে যারা গান পরিবেশন করে তাদের সম্পর্কে যে কথাটি বলেছেন তা কি গ্রহণযোগ্য ? সে হয়তো মঞ্চে থাকা কোন প্রতিযোগিকে উদ্দেশ্য করে বলেছে। কিন্তু কথাটি ঐ প্রতিযোগিকে কতখানি আঘাত করেছে তা জানিনা।
তবে যারা এদেশের মাটি ো মানুষের শিল্পী লোক সঙ্গীত, বাউল সঙ্গীত, পল্লী সঙ্গীতের শিল্পী তাদের হৃদয়ে প্রতিবাদহীন ঝড় তুলেছে। এরকম মন্তব্য খুবই দুঃখজনক বুলবুল সাহেবের উচিত জনগণের কাছে তার এ মন্তব্যের জহন্য ক্ষমা চাওয়া। বিচারকদের নিরপক্ষহীনতা, বিচারকার্যে অনিয়মের কারনে ক্লোজআপ ওয়ানের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে হাড়িয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে মানুষ হচ্ছে এনটিভির বিমুখ। প্রতিভা বিকাশের নামে বিচারকদের পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ,গ্রহণযোগ্যহীন মন্তব্য এবং জনগণের কাছ থেকে এসএমএস আদায়ের নামে এনটিভি ো ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষ যে ব্যবসা শুরু করেছে তার অবসান হওয়া উচিত।
তা না হলে দেশের প্রতিভাবান অসহায় গরিব মেধাবী শিল্পীরা এরকম প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে ভয় পাবে। তাই এখনই সময় বুজে শুনে ভালো সিদ্ধান্ত নেয়ার , নয়তো জনগণই একদিন এবং সমুচিত উত্তর দিবে।
এম এ রশিদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।