আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কার্যকারণ: গরুর গোশত এত কলেস্টরেল সমৃদ্ধ কেন?



সব গরুর গোশতই কলেস্টরেল সমৃদ্ধ নয়। গরুর প্রধান খাদ্যঘাস। ঘাসে অনেক পুষ্টিকর উপাদান থাকে। যে গরু শুধু ঘাস খেয়ে বাঁচে, তার গোশত অনেক নিরাপদ, তাতে কলেস্টরেলের মাত্রা কম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ অনেক বেশি। ওমেগা-৩ শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটা অসম্পৃক্ত চর্বি।

আমরা খাদ্যের সঙ্গে যে চর্বি গ্রহণকরি, শরীর সেখান থেকে ওমেগা-৩ তৈরী করতে পারেনা। তাই এই চর্বি আমাদেরকে বাইরের খাদ্যের সঙ্গে গ্রহণ করতে হয়। মাছের তেলে এটা থাকে। যেসব গরু শুধু ঘাস খেয়ে বাঁচে, সেগুলোর গোশত থেকে এটা পাওয়া যায়। কিন্তু শর্ত হলো শুধুই ঘাস খাওয়া গরু হতে হবে।

প্রকৃতপক্ষে, গরু ,খাসি এবং এ জাতীয় পশুর স্বাভাবিক খাদ্য হলো ঘাস। কিন্তু শুধু ঘাস খেয়ে বড় হলে সেই পশুর গায়ে পর্যাপ্ত গোশত জমা হতে সময় বেশি লাগে। তাই কম সময়ে বেশি গোশত পাওয়ার জন্য গরুর খাদ্যতালিকায় ক্রমেই যুক্ত হচ্ছে শস্যও অন্যান্য দ্রব্য। এমনকি গরুকে মোটাতাজা করার জন্য খাওয়ানো হয় নানারকম হরমোন ও আমিষ বাড়ানোর ওষুধ। এসব গরুর গোশত চর্বিতে সমৃদ্ধ।

এই সম্পৃক্ত চর্বিই কলেস্টরেলের মূল উৎস। ঘাসের পরিবর্তে শস্য খাওয়ালে চর্বির মধ্যে ওমেগা-৩ অসম্পৃক্ত চর্বির ভাগ কমে গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র ১৫-৩০ শতাংশে। আর সেই অনুপাতে বাড়তে থাকে সম্পৃক্ত চর্বির ভাগ, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এই অসম্পৃক্ত চর্বিই রক্তবাহী ধমনীতে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করে, যা শেষ পর্যন্ত হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটা প্রশ্ন থেকে যায়, গরু যদি ঘাস খেয়ে এত বিশালদেহী হতে পারে তবে মানুষ কেন পারেনা? কারণ, গরুর পাকস্থলিতে দুটি কক্ষ থাকে।

এর প্রথমটি বেশ বড় একটি ফারমেন্টেশন ট্যান্কের মত। এখানে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘাসের সেলুলোজ থেকে আমিষ ও চর্বি তৈরি করে। একই সঙ্গে ঘাসের ক্যালসিয়াম সন্চয় করে, যা গরুর দুধে পাওয়া যায়। কিন্তু মানুষের পাকস্থলী এক কক্ষ বিশিস্ট হওয়ায় ঘাস পরিপাক করতে পারেনা। (উৎস: ছুটির দিনে)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।