পরাজিত হতে হতে আমি উঠে দাড়িয়েছি এবার ফিরে যাবো না খালি হাতে, স্তব্ধতা আর সৌন্দর্যের পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই যে কবি সে কখনো খালি হাতে ফিরে যেতে পারে না ।
মনুষ্য প্রজাতির আত্মপ্রসাদ লাভ আর অহমিকার সীমা পরিসীমা কোনকালেই ছিল না কিন্তু কতিপয় মহাত্মা তাদের সেই অহমের বারটা বাজিয়েছেন গত পাঁচশত বছরে ।
: যেমন ?
:এই পৃথিবী তথা বাস্তুভিটা কে কেন্দ্র করে মনুষ্য প্রজাতি বড়ই আত্মপ্রসাদ লাভ করতো -ধুলির ধরা ,বসুন্ধরা আরও কত কি ? তো তাদের এই অহং এর বারটা বাজালেন কোপার্নিকাস আর গ্যালিলিও । তারা দেখালেন এই পৃথিবী নামের গ্রহটা নক্ষত্র জগত্ দুরের কথা খোদ সৌরজগতেরও কেন্দ্রভুমি নয়, বরং সুর্য ব্যাটার চারদিকে কলুর বলদের মত নিগড় বাঁধা এক ভবঘুরে ।
: গ্রহ নক্ষত্র ছায়াপথ এই সব প্যাচাল পেরে লাভ কি ,"আশরাফুল মাখলুকাত" ত' আর অন্য কোথাও অদ্যাবধি আবিস্কৃত হইনি ?
:মনুষ্য প্রজাতির ঠিক এই জায়গায় কুঠারাঘাত করেছিলেন আরেকজন , নাম তার চার্লস ডারউইন ।
তিনি দেখালেন মানুষ প্রাণী জগতের কেন্দ্র নয়, আলাদা রাজা ত' নয়ই ,তার গোত্রীয়তা আছে অন্য প্রাণীর সাথে । মানুষে আর দশ প্রাণীতে ভেদ অত নয়, যতটা চেতনলোকের অহমবাদী মানবসন্তান ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করে ।
: তর্কের খাতিরে না হয় মানা গেল ,মনুষ্য প্রজাতি বিশ্বজাহানের কেন্দ্রে সংসার বাঁধেনি । এটাও না হয় মেনে নেয়া গেল মানুষ প্রাণীজগতের উৎ স স্থল নহে । এমনকি "জীবজন্তু উদ্ভিদ সবই ঐ আশরাফুল মাখলুকাতের সেবা ও সন্তূষ্টির জন্য '' এই কথাটিও না হয় প্রত্যাহার করা গেল ।
তাতে কি ? মানুষ যে যুক্তিনশীন ও বুদ্ধিমান প্রাণী , নীতিনিষ্ঠায় অটল সেটা কি অস্বীকার করা যাবে ? আধুনিক দর্শন শাস্ত্রের প্রবক্তা দেকার্ত যে বলতেন 'কজিতে এরগে সুম' সেটা কি ঠিক নয় ?
: মনুষ্য প্রজাতি তখনও টের পায়নি যে , তার কপালে আরও দুঃখ আছে । মনুষ্য প্রজাতির অহমবাদের শেষ আশ্রয় -মানুষের যুক্তিনির্ভরতা সেটার বারটা বাজানোর দায় বর্তায় সিগমন্ড ফ্রয়েড মহাশয়ের । তার আবিস্কারের বড় দলিল "খোয়াবনামা"। ফরাসি দার্শনিক লুই আলথুসার তার আবিস্কারকে বলেছেন "নতুন মহাদেশ"আবিস্কার ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।