আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারীর বিরুদ্ধে পারিবারিক নির্যাতন: বাংলাদেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুনপৌনিক ঘটনার নিষিদ্ধ আলোচনা- তৃতীয় কিস্তি

munirshamim@gmail.com

দ্বিতীয় কিস্তির পর.............. উন্নয়ন ও পারিবারিক নির্যাতন উন্নয়ন আলোচনায় পারিবারিক নির্যাতনের ইস্যুটি কতটা প্রাসঙ্গিক অথবা উন্নয়নের সাথে পারিবারিক নির্যাতন ইস্যূর আদৌ কোন সম্পর্ক আছে কি না? এ প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান জরুরি। আবার এ অনুসন্ধান নিশ্চিতভাবে উন্নয়ন ধারণা সম্পর্কে আলোচনার দাবি রাখে। উন্নয়ন কী একটা সময় ছিল যখন উন্নয়নকে শুধু একটি অর্থনৈতিক প্রপঞ্চ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ফলে উন্নয়নের প্রক্রিয়া ও কার্যক্রমগুলোও ছিল পুরোপুরি অর্থনীতি নির্ভর। মাথা পিছু গড় আয়, ক্যালরীগ্রহণের মতো বিষয়গুলোই কেবল উন্নয়নের প্রধান সূচক হিসেবে বিবেচিত হতো।

একটি দেশের ক্রিয়াশীল অর্থনীতি বছর শেষে কতটা মুনাফা বা প্রবৃদ্ধি অর্জন করলো তার নিরিখে বিচার করা হতো উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি। বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে মুনাফা ও প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রীক উন্নয়নের এ তত্ত্বটি বাংলাদেশ সহ উন্নয়নশীল বিশ্বে উন্নত বিশ্বকর্তৃক চাপিয়ে দেয়া একটি প্যাকেজ প্রোগ্রাম হিসেবেই জনপ্রিয় ওঠে। অনুসৃত হয় মূলধারার উন্নয়ন কৌশল হিসেবে। শিল্পায়ন, কৃষির আধুনিকায়ন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, বিদেশী সাহায্য ও বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগ ইত্যাদির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনই ছিল এ উন্নয়ন কৌশলের মূল লক্ষ্য। ফলে মুনাফাকেন্দ্রীক এ উন্নয়ন কৌশলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ ও তাদের জীবন-মানের পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি।

মানুষ বিবেচিত হয়েছে কেবল একটি অর্থনৈতিক প্রাণী হিসেবে। মানুষের সৃজনশীলতা, মেধা ও মনন, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রময়তা, নারী-পুরুষের সমতা, ধর্মীয় ও জাতিসত্ত্বার দিক থেকে সংখ্যালঘু মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো এবং মানুষের অন্যান্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মাত্রাগুলো উপেক্ষিত থেকেছে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ সহ উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোতে অনুসৃত এ উন্নয়ন কৌশল উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিতোতো পারেনি বরং উল্টো শ্রেণী-বৈষম্য বাড়িয়েছে, দারিদ্র পুনসৃজন করেছে এবং যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জন্য উন্নয়ন হওয়ার কথা শেষ পর্যন্ত তাদের উন্নয়নের মূল প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রেখেছে। মূলধারার উন্নয়ন কৌশলের এ রকম ব্যর্থতা থেকেই একটি বিকল্প উন্নয়ন ভাবনা ও চিন্তা অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। এ ভাবেই উন্নয়নের বিকল্পভাবনাগুলো বিকশিত হয়।

জনপ্রিয় হয়ে ওঠে মানবিক উন্নয়ন বা অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন ভাবনা। মানবিক উন্নয়ন বা অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন ভাবনার মূলপ্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে মানুষ। বলা যায় মানুষ কেন্দ্রীক উন্নয়ন। মুনাফা এখানে কখনো লক্ষ্য নয়, কেবল উপায় মাত্র। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ উন্নয়ন কে আখ্যায়িত করেছেন মানুষের স্বাধীনতা হিসেবে।

তিনি স্বাধীনতার সাথে উন্নয়ন ও অনুন্নয়নের কার্যকারণ সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করেছেন এবং উন্নয়নের সাথে স্বাধীনতার একটি তাৎপর্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার মতে উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের মৌলিক স্বাধীনতাসমূহ বাড়াবার একটি ধারবাহিক প্রক্রিয়া। তিনি সনাতন ধারণানির্ভর আয়, সম্পদ ইত্যাদির পরিবর্তে একটি বৃহত্তর পরিসরের মানবিক স্বাধীনতাকে উন্নয়ন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যভাবে তিনি উন্নয়নকে বলেছেন, এ মানবিক স্বাধীনতা ভোগ করার জন্য সক্ষমতা (সেন, ২০০৩)। আর এ স্বাধীনতা বা সক্ষমতা কোনটাই সমাজ বা রাষ্ট্রে বসবাসকারী বিশেষ শ্রেণীর বা ধর্মের মানুষের জন্য নয়।

বরং এটি ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ, জাতিসত্ত্বা ও ভৌগলিক সীমারেখা নির্বিচারে সকল সুবিধা বঞ্চিত সংখ্যাগরিষ্ট সকল মানুষের জন্য। আর সক্ষমতা কেবল অর্থনৈতিক সক্ষমতা নয়। এ সক্ষমতার সাথে মানুষের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, অংশগ্রহণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক গতিশীলতা এ বিষয়গুলো গভীরভাবে সম্পর্কিত। একই সাথে সমাজের কত ভাগ মানুষ কী মাত্রায় এ অধিকারগুলো প্রয়োগ করতে পারছে সে প্রশ্নটিও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এখানে উন্নয়ন একটি সামগ্রিক বিষয়।

আর এ সামগ্রিক উন্নয়নের বিষয়টি মানবাধিকার, নারী অধিকার ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনার বাইরে রেখে অর্জন সম্ভব নয়। বাংলাদেশের জনবৈজ্ঞানিক কাঠামোর প্রায় ৫০% জনগোষ্ঠী নারী। এ ৫০% জনগোষ্ঠীর জন্য নিপীড়নের গভীরতর পথটি খোলারেখে একটি মানবিক উন্নয়ন সম্মৃদ্ধ সমাজ বা রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখাও অবাস্তব। অকল্পনীয়। পারিবারিক নির্যাতনের সাথে উন্নয়নের গভীরতর সম্পর্কটি এখানেই প্রোথিত।

বাংলাদেশে পারিবারিক নির্যাতন বিষয়ে পরিচালিত কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনের কতিপয় উপাত্ত ও তথ্য পর্যালোচনার মাধ্যমে উন্নয়নের সাথে পারিবারিক নির্যাতনের সম্পর্কটি আরেকটু গভীরভাবে দেখা যেতে পারে। বলে রাখা ভাল বাংলাদেশে পারিবারিক নির্যাতন সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিক তথ্য-উপাত্ত এখন পর্যন্ত সীমিত। ২০০৪ সালে গ্রামীণ বাংলাদেশের পারিবারিক নির্যাতন সম্পর্কে যৌথভাবে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায় পারিবারিক নির্যাতনের একটি অন্যতম রূপ হচ্ছে যৌতুক। যৌতুককে তারা গ্রামীণ বাংলাদেশে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি প্রথা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যদিও যৌতুক একটি আইনী অপরাধ এবং এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আইনী বিধান রয়েছে।

এ গবেষণাটি যৌতুক একটি মধ্যম চলক হিসেবে পারিবারিক নির্যাতনের অন্যান্য প্রকরণগুলোর বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার তাৎপর্যপূর্ণ কার্যকারণ সম্পর্কটিও চিহ্নিত করেছে। এতে বলা হয়েছে কনে পক্ষের প্রদত্ত্ব যৌতুকের পরিমাণ যদি টাকার অংকের হিসেবে পাত্র পক্ষ কম মনে করে থাকে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কনের নির্যাতিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। একই গবেষণায় ৪০ বছর বয়স্ক একজন নারী এ ভাবে বর্ণনা করেছেন-'যদি যৌতুকের দাবি না মেটানো না হয় তবে স্বামী বউ পেটায়, অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করে যার বাবা আরও বেশি টাকা প্রদানের সক্ষমতা রাখে’। তার মানে হচ্ছে এ যৌতুক প্রথা বহুবিবাহ সঙ্ঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রেও অন্যতম চলক হিসেবে ভূমিকা রাখে। এ গবেষণায় বিয়ের সময় কনের পরিবার থেকে যৌতুকের প্রতিশ্র“তি ছিল এবং ছিল না এ দু’ধরনের দাম্পত্য পরিবারে সঙ্ঘটিত পারিবারিক নির্যাতনের একটি তুললামূলক বিশ্লেষণ করা হয়।

এতে দেখা যায় বিয়ের সময় যৌতুকের প্রতিশ্র“তি ছিল না এ ধরনের নারীর তুলনায় যৌতুকের প্র“তিশ্র“তি ছিল এ ধরনের নারীরা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশি পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পরিসংখ্যানের নির্ভরণ বিশ্লেষণেও গবেষকবৃন্দ তাৎপর্যপূর্ণ সম্পর্ক খুজে পেয়েছেন (বিটস এবং অন্যান্য, ২০০৪, পৃষ্ঠা-১৯৩-১৯৫)। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের তৃণমূল নারীদের ওপর পরিচালিত আরেকটি গবেষণায় যৌতুকের সাথে দারিদ্র্য সৃষ্টি, পুনসৃষ্টির সহ সম্পর্কটি প্রমাণিত। উপরোক্ত গবেষণায় দেখা যায় উপকূলীয় গ্রামীণ বাংলাদেশের ৫৭% পরিবারকে তাদের মেয়ের বিয়ের সময় যৌতুকের দাবি মেটাতে হয়। এ ৫৭% পরিবারের ৫৮% যৌতুকের দাবি মেটাতে গিয়ে তাদের সামান্য জমি হয় বন্দক রেখেছে না হয় বিক্রি করেছে।

যা নিশ্চিতভাবে দরিদ্র মানুষের মাঝে ভূমিহীনতা তৈরি করছে। ২৪% পরিবারের হালের গরু, দুধের গাভী বা অন্যন্য গৃহপালিত পশু বিক্রি করেছে। ১১% নতুনভাবে মহাজনি ঋণের জালে বন্দী হয়েছে। ৫% এনজিও প্রদত্ব ঋণের টাকা যৌতুকের দাবি মেটাতে গিয়ে খরচ করেছে (শামীম, ২০০৫, পৃষ্ঠা-৫)। সুতরাং বিয়ে ও পরিবার নামক দু’টি আন্তসম্পর্কিত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যে যৌতুকের লেনদেন হচ্ছে তা নারী এবং তার পরিবারের নিঃস্বকরণ ও দারিদ্র্য তৈরিতে প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখছে।

পাশাপাশি প্রহার সহ অন্যান্য যে নির্যাতনগুলো হচ্ছে তারও রয়েছে মানসিক, সামাজিক, শারিরীক এবং আর্থনীতিক প্রভাব। এতে শুধু নারীরা নয়, তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যরাও দারিদ্র্য রেখার নিচে পতিত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে দারিদ্র্য ও অনুন্নয়নের বহুমাত্রিক ক্ষেত্র। যা সাধারণত মূলধারার উন্নয়ন আলোচনায় উপেক্ষিত থেকে যায় বলে চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের পুনরুৎপাদনমূলক বয়সের (১৫-৪৯) ৩১৩০ জন নারীর ওপর পরিচালিত আরেকটি সমীক্ষায় দেখা যায় আওতাভুক্ত নারীদের ৬০% (শহর) এবং ৬১% (গ্রাম) শারীরক অথবা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

আবার এদের মধ্যে যারা শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই প্রধানত তাদের স্বামীর হাতে নির্যাতনে শিকার (আইসিসিডিআরবি, ২০০১, পৃষ্ঠা-২)। এ গবেষণায় নির্যাতিত হওয়ার সাথে বিভিন্ন ধরনের শারিরীক রোগ ও সমস্যার সহসম্পর্ক খুজে পাওয়া গেছে। নির্যাতিত নারীরা তাদের যেসব স্থায়ী সমস্যার কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে হাটতে না পারা (১৮% শহর, ২৪% গ্রাম), ব্যথা (২৬% শহর, ৩৬% গ্রাম), মাথা ঝিমঝিম করা (৪৪% শহর, ৬৪% গ্রাম), এবং স¥ৃতিশক্তি লোপ (১৩% শহর, ২০% গ্রাম)। পরিসংখ্যানের নির্ভরণ বিশ্লেষণেও এ নির্যাতনের সাথে এ ধরনের রোগ ও শারিরীক সমস্যায় ভোগার তাৎপর্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে। (প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা-৩)।

জন হপকিংস পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা যায় পারিবারিক নির্যাতনের একটি করুন পরিণতি হচ্ছে গর্ভপাত, অপরিপক্ষ অথবা মৃত শিশুর জন্মদান) । অতি স¤প্রতি গবেষণা সংস্থা সিপিডি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে পারিবারিক নির্যাতনের অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, শুরু পারিবারিক নির্যাতনের প্রেক্ষিতে চিকিৎসাবাবদ যে ব্যয় হয় তা বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের ৪.১ ভাগ। ১২টি জেলার পরিচালিত নমুনা জরিপের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, প্রতি বছর ১.৮১ কোটি নারী পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়। যার জন্য শুধু চিকিৎসা ব্যয় হয় ১৩,১৮৭ কোটি টাকা (ডেইলী স্টার, ২২অক্টোবর, ২০০৮)।

ওপরে যেসব সমস্যা ও রোগের কথা বলা হয়েছে এগুলোর প্রত্যেকটি নারীর উৎপাদন ও শ্রম ক্ষমতা কমায়। ফলে পরিবার ও সমাজ নারীর উৎপাদনশীল অবদান থেকে বঞ্চিত হয়। অন্যদিকে এ সব রোগের কারণে পরিবারের চিকিৎসা ব্যয় বাড়ে। আয় অবচয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে। আর উন্নয়নকে একটি সামগ্রিক মানবিক উন্নয়ন, সক্ষমতা ও স্বাধীনতার বিকাশ হিসেবে বিবেচনা করলে পারিবারিক নির্যাতনের সকল সম্ভাবনা উন্মুক্ত রেখে, যা ওপরেও উল্লেখ করা হয়েছে, একটি সামগ্রিক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

আর এখানেই পারিবারিক নির্যাতনের সাথে উন্নয়নের সম্পর্ক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।