আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ভার্সিটিতে "গ" ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় ল্যাবে ঢুকতে পারলাম দুপুর একটায়। সাড়ে ছয়টায় চরম ক্লান্তিতে ল্যাব বন্ধ করে বেরহলাম। দু''জনে রিক্সা নিলাম মোকাররম ভবনের সামনে থেকে। রিক্সাটা যখন কলা ভবনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল সে বলে, "দেখ, দেখ, আকাশে বাঁকা চাঁদ আর দুইটা তারা কি সুন্দর একটা ত্রিভুজ তৈরি করেছে। আমিও দেখলাম সত্যিই তো, ঘড়িতে তখন ছয়টা পয়তাল্লিশ।
আমার কাছে মনে হচ্ছিল, একটা নিরীহ ছাগল হালকা হাসি দিচ্ছে। ও, আমার কথা শুনে হাসল। আমার চিন্তা এমনই উলটাপালটা। তবে, তারা দুটো সত্যিই খুবই জ্বলজ্বল করছিল। নীলক্ষেতের জ্যামে আরো কিচ্ছুক্ষণ দেখলাম চাঁদ আর জ্বলজ্বলে তারা দুটোকে।
নীলক্ষেতে এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে মোগলাই চাইলাম। খেতে খেতে বুঝলাম, এতটুকুতে চলবে না বাসায় গিয়ে পেট ভরে ভাত খেতে হবে। আমি আবার চরম রকম ভেতো বাঙালি।
বিদায় দিয়ে, উঠলাম বিকল্প সার্ভিসের বাসে। বাসে বসে মোবাইলে মেসেঞ্জারে ঢুকলাম।
হঠাৎ এক ফ্রেন্ড বায করে বলে, তাড়াতাড়ি আকাশে দেখ। দুইটা গ্রহ আর চাঁদ একটা ত্রিভুজের রূপ নিয়েছে। খবরটা নাকি প্রথম আলোতে এসেছিল আজকে। চাঁদ, শুক্র আর বৃহঃস্পতি গ্রহ একটা ত্রিভুজের আকৃতি তৈরি করবে। এই দৃশ্য নাকি আবার দেখা যাবে ২০৫২ তে অর্থাৎ আরো ৪৪ বছর পরে।
সেই সময়ই এক বান্ধবি মেসেঞ্জারে বায করল। অনেকদিন পরে তার সাথে কথা। কিছুদিন আগে মেসেঞ্জারে একটা সুখবর দিয়েছিল, সে মা হতে যাচ্ছে। তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি তাই তখনই ফোন করে শুভেচ্ছা জানালাম। সাথে আকাশের চাঁদ, শুক্র ও বৃহঃস্পতির তৈরি ত্রিভুজ দেখতে বললাম।
কিন্তু তাদের বগুড়া থেকে নাকি দেখা যাচ্ছে না।
খুব ভাল লাগল। এই দূর্লভ সময়টাতে প্রিয় দুইজন মানুষের সাথে কাছে বা দূরে যেভাবেই হোক সাথে থাকতে পারবার জন্য। ২০৫২-এর পৃথিবী কেমন হবে জানি না। যদি বেঁচে থাকি তবে তখন আমাদের তিনজনের বয়স থাকবে আটষট্টি বা উনসোত্তর।
এই স্মৃতি মনে থাকবে কিনা জানি না, ব্লগে লিখে রাখলাম। এই ক্ষণটিএক ধরে রাখবার ক্ষুদ্র প্রয়াস।
পোস্টের সাথে সম্পর্কহীন আলোচনা এখানে করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।