অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা।
ধর্ষণ, ছিনতাই, খুন, ডাকাতিসহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে প্রতিদিনই। বাড়ছে অপরাধীদের সাম্রাজ্য ও তাদের কৃত অপরাধের মাত্রা।
বর্তমান সময়ে সংগঠিত হচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী এক অপরাধ।
আর তা হলো এইডস ক্রাইম।
গত মাসে ডাচ কোর্ট ইচ্ছাকৃতভাবে ১৪ জন মানুষের শরীরে এইচআইভি বা এইডসের জীবানু সংক্রমিত কারার দায়ে অভিযুক্ত করেছে দুজন লোককে । পুলিশি তদন্ত দেখা গেছে, অপরাধীদ্বয় ২০০৬-এর জানুয়ারি থেকে ২০০৭-এর মে পর্যন্ত বিভিন্ন সেক্স পার্টিতে ১৪ জন রোগীর দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে এইচআইভি রোগীর রক্ত প্রবেশ করিয়ে দেয়। এ ঘটনাগুলো নেদারল্যান্ডসহ সারা ইউরোপে আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়।
এ অপরাধের শাস্তি স্বরুপ ধর্ষণের অভিযোগেও অভিযুক্ত আসামি পিটারকে (৪৯) ৯ বছর এবং অপর আসামি হ্যান্সকে (৩৯) ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
আদালতে বিচারকরা বলেন, এই ধরনের অপরাধ মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অসম্মানের নামান্তর। যেহেতু অপরাধীরা এই রোগে আক্রান্ত্ এবং তারা জানে কীভাবে এই রোগের জীবানু মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। বাদীপরে আইনজীবী বলেন, তারা জেনে ও ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করেছে। আদালত অবশ্য বলেছে, ভুক্তভোগীরা সবাই এইচআইভিতে আক্রান্ত, কিন্তু এটা প্রমাণিত হয় না যে তারা ইনজেকশনের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছে। যেহেতু তারা স্বেচ্ছায় সেক্স র্পাটিতে অংশগ্রহণ করেছে।
তাই এ রোগ সেক্সের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। এছাড়া কোনো প্রমাণ ভুক্তভোগীরা আদালতে দিতে পারে নাই যে, এটা ইনজেকশনের মাধ্যমেই সংক্রমিত হয়েছে। বাদীপরে আইনজীবী হত্যার অভিপ্রায়ের অভিযোগে অপরাধীদের মৃত্যুদন্ড দাবি করলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিপ্রায়ের’ অভিযোগ নাকচ করে দেয়। আদালতের যুক্তি অনুযায়ী, এইচআইভি অনিবার্য বা অবশ্যম্ভাবী রোগ। এবং অবাধ যৌন মেলামেশার কারণে এই রোগ একজনের শরীর থেকে আর এক জনের শরীরে প্রবেশ করে।
তাই তাদের হত্যার অভিপ্রায়ের’ অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়া হলো। অবশ্য বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, প্রয়োজনে তারা উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে শাস্তি বাড়ানোর জন্য আবেদন করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।