সবাই ভাল থাকুন।
চরম পেইনে আসি। বাসায় সবাই একযোগে আমার পিছে লাগসে। আব্বু আম্মু আপা দুলাভাই থেকে এখন আমার ভাগ্নেরা পর্যন্ত। ‘মাস্টার্স কেন করতেসোনা মাস্টার্স কেন করতেসোনা’ বেপারটা এখন রিতিমত অসহ্য পর্যায়ে চলে গেসে।
উফ্ আল্লাহ্! আমিও কম না। জিদ চাপসে করবো না। বল্লাম ‘চাকরি করে এসব করা যাবে না’। আমার বন্ধু/কলিগদের কথা বলে তাদের কে বুঝাই। ওদের সকাল-বিকাল জব আর সন্ধা-রাত মাস্টার্স ক্লাস করে এখন ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। শেষে বল্লাম ‘ঠিক আছে করতে পারি কিন্তু তাহলে চাকরি করবো না’। এটাতে সবাই একটু চুপ হইসে। ওইদিন হঠাত্ অফিসে আপা ফোন করল। আচ্ছা তোমার সিভিটা একটু তোমার দুলাভাইকে মেইল করতো।
বল্লাম কেনো? না ও কোথায় জেন একটা জব ওপেনিং পাইসে। তোমার জন্য ট্রাই করবে বল্লো। আচ্ছা ঠিগাসে বলে মেইল পাঠায়ে দিলাম। ব্রিহস্পতিবার আপা ফোন করে শুক্রবার ওদের বাসায় আসতে বল্লো। গেলাম।
রাতে ভাতের টেবিলে কথার ফাকে আপা হঠাত বল্লো জানো তোমার জন্য একটা মেয়ে দেখসিলাম। শুধু মাস্টার্স ছিলনা বলে ওরা না করে দিলো। বল্লাম মানে!? তোমরা কি এখন আমার জন্য মেয়ে দেখতেস নাকি? আচ্ছা, এই জন্য ওইদিন সিভি নিসিলে? আপা বল্লো ‘কেন? সারা জীবন কি একা থাকবে নাকি? যা হোক, এবার বুঝলেতো মাস্টার্স ছারা বিয়েও করতে পারবে না’। রেগেমেগে বল্লাম থাক লাগবেনা। আমার বউ আমিই দেখব।
মনে হয় একটু বাশিই বলে ফেলসিলাম। ব্যাস শুরু হয়ে গেলো ‘আমি বুঝি না ওমুকের ভাই কি সুন্দর চাকরি করে মাস্টার্স করছে, তমুক আপার মেয়েও কি সুন্দর করছে আর তোমার বেলায় দুনিয়ার কাহিনি ইত্যাদি...কান ঝালাপালা’। ইদানিং বন্ধুরাও পেইন দেওয়া শুরু করসে। দস্ত মাস্টার্সটা কইরা ফেল। বেটাদের আর কোনো কথাই নাই।
আচ্ছা সবাই এমন কেনো হয়ে জাচ্ছে? আর তো পারা জাচ্ছে না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।