অকৃতজ্ঞের চেয়ে অধম
বর্তমান বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন কোন দিক ফুটে আসেনি যার মাধ্যমে একজন ছাত্র তার পেশার নিশ্চয়তা দিতে পারে। হাতে কলমে শিক্ষা নেই বললেই চলে। আজ বাংলাদেশে হাজার হাজার যুবক বেকার বসে আছে যাদের ৯০ ভাগ হবে অনার্স মাস্টার্স করা ছাত্র। একজন ছাত্র ক্লাসিকাল পড়াশুনা করে অনার্স মাস্টার্স করে তেমন কোন ভাল জব পায়না ফলে তারা পুনরায় দুই -তিন বছর ধরে নুতুন এক স্কুলে ভর্তি হন যার নাম জব স্কুল । এতদিনে পড়েছে রসায়ন এখন পড়তে হচ্ছে ইতিহাস,বাংলা ইংরেজি প্রভৃতি। এমনিভাবে যে ইতিহাসে পাঁচ বছর অনার্স মাস্টার্স করলো তাকে আবার সবজান্তা শমসের হতে হচ্ছে। যদি এই হয় চাকরী পাওয়ার কন্ডিশন তাহলে তো সকল বিষয় অনার্স মাস্টার্সে ও পড়ানো উচিত যেমনটি ছিল ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু কলেজে। তখন বিজ্ঞান,মানবিক,কমার্স ভাগ ভাগ না করে সবাইকে সর্বজ্ঞানী করে তোলা সম্ভব বলে মনে হয় ! বর্তমানে বুয়েট পড়ুয়া ছাত্র অগ্রনী ব্যাংকে চাকরী করছে তাহলে কি আমরা বলবোনা যে, উনিতো ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কথা উনি কেন ব্যাংকার ? তাহলে বুঝা গেল বাংলাদেশে কারিগারি শিক্ষা বলতে যেটি আছে সেটি প্রকৃত কারিগাড়ি শিক্ষা নয়। তাই বলছি যে, অনার্স তো শেষ চাকুরীর জন্য যখন জব স্কুলে ভর্তি হতে হবে তাহলে আর মাস্টার্স করে লাভ কি তারাতারি চাকুরী মানে জব স্কুলে ভর্তি হই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।