আগের পর্ব......
Click This Link
এই সেই pedestrian village.
এখানে আসলে এমন ভালো লাগায় আপ্লুত হই......মানুষের সুন্দর পরিকল্পনায় তৈরী এই ভিলেজ......
ক্যাবল কারের জন্য লাইন এ দাঁড়ালাম। এই লেভেল থেকে উপরে যেতে টিকিট লাগে না। উপর থেকে নীচের দিকে তাকালে দ্বীপের মত লাগছিলো।
উপরে যাওয়ার পর শুধু সাড়ি সাড়ি হোটেল গুলো পাশাপাশি। একটু পর রেষ্টু রেন্ট আর কফি শপ ।
মানুষ আর মানুষ.....
অনেকে বিভিন্ন রাইডে চড়ছে,
আমরা আর একটা ক্যাবলে কারের জন্য দাড়ালাম। এখানে টিকিট কাটতে হয়।
এত উঁচুতে উঠতে হবে? তাকিয়ে মাথা ঘুরছিলো।
আবার নামার সময় অন্যরকম ব্যবস্হা........
আমরা যাবো কি না ডিশিশান নিতে নিতে রাশীক, মনির আর ওয়াসী ওরা একবার উপরে উঠে আবার বিশেষ সেই গাড়ীতে উঠে নীচে নেমে এলো।
এখানে সবাইকে হেলমেট পড়তেই হবে।
আমরা গেলাম সবাই একসাথে।
ক্যাবল কারে উঠে নীচের দিকে তাকিয়ে ছবি আর কি তুলবো ,দেখি মাথা ঘুরতেছে ভনভন করে। পাশে রাইয়ার ওর বাবার সাথে মহা নিশ্চিন্তে বসে আছে। রাইয়ানের হাত চেপে ধরলাম। ওরা বোঝে নি আমার ভয়ের কথা।
পিছনের টায় রাশীক আর বানী।
আমার শুধু মনে হচ্ছিল পায়ের স্যান্ডেলটা মনে হয় খুলে পড়ে যাবে।
যাই হোক.....উপর উঠে ওখানে দেখার কিছু নাই। নীচের দিকে তাকালে অসাধারন লাগে সব কিছু। চোখ জুড়িয়ে যায়।
ওখান থেকে ফিরে আসা পাহাড়ের ঢালু পথে.......কেউ ওভাবে নামতে না চাইলে
ক্যাবল কার দিয়ে নামতে পারে।
ওখানে একটা ছেলে শিখিয়ে দিলো কিভাবে ল্যুজ চালাতে হয়। ল্যুজ হলো বাংলা দেশে সবাই কলা পাতায় বসে টান দিয়ে যে খেলে উপর থেকে নীচু পথে ...সেই ধরনের একটা ব্যাপার।
আমরা সবাই আলাদা ল্যুজ এ চড়লাম।
শুধু রাইয়ান ওর বাবার সাথে।
চোখের পলকে দেখি ওরা আমার থেকে অনেক দুর....আমি ঢালুতে নামি আর ছবি তুলি। এত মজার একটা ব্যপার। কত উঁছু একটা পাহাড় থেকে কিভাবে নামছি....একটা লেভেল এ এসে দেখি ওদের সবাইকে দেখা যাচ্ছে.........
আমি ধীরে ধীরে নামতে লাগলাম। ওরা ভাবলো ভয় পেয়েছি।
বললাম ছবি তুললাম তোমাদের ।
বড়ভাই শুধু বসেছিলো আমাদের জন্য।
উনি কোনমতেই রাজি হননি অত উপরে যেতে।
গানের আওয়াজ কানে এলো.....। একটা স্টেজে গান গাইছে একজন শিল্পী ।
ল্যাটিনো মহিলা।
স্প্যানিশ গান গাইছিলো।
চেয়ারে বসে থাকা মানুষ কম....সবাই নাচছে.....।
এখানে আসলে মানুষের দুঃখ গুলো মনে হয় ম্লান হয়ে আসে ....
বেঁচে থাকার আনন্দ মানুষ কত ভাবে মুখরিত হয়। কিছু জায়গাই এমন।
সবসময় উৎসব মুখর মনে হয়।
প্রান প্রাচূর্য্যে ভরা।
সবার চলা ফেরার মধ্যে কেমন স্হিরতা, কারো কোথায় যাবার তাড়া নেই।
আমরা এই আনন্দে মিশে গেলাম....
মানুষের হাসি,কথা ,নাচে মুখরিত কিছু সময়.........।
নানান বর্নের নানান ভাষাভাষী মানুষ সব মিলে মিশে ....কি এক পরম আনন্দ।
সূর্য্য ডোবার আগে আমাদের ফেরার পালা......।
ওখান থেকে আসতে আমার মন খারাপ লাগছিলো। ও বললো আবার আগামী সামার এ আসবো ইনশাল্লাহ । সেই আনন্দে বিভোর হয়ে ফেরার পথ ধরলাম।
আগামী বছর কেউ বেড়াতে আসলে তাকে নিয়েও আসা যাবে না হয়।
একটা কফি শপে থামা হলো.....ডোনাট আর কফির জন্য।
আর কি অবাক করে দিয়ে মুষল ধারায় বৃষ্টি শুরু হলো।
জীবনের অনেক সুন্দর দিনের একটি আমরা কাটিয়ে গেলাম খুব প্রিয় একটা শহরের প্রিয় একটা জায়গায়।
বৃষ্টিভেজা রাতে ফিরে আসছি যখন এক সময় পিছনে বড়ভাই ,রাশীক আর রাইয়ান ঘুমিয়ে পড়লো।
আমরা দুজনে পথের দিকে তাকিয়ে আছে....
এভাবে অনেক অনেক দুর যেনো যেতে পারি। আমাদের কথার মধ্য গান গেয়ে যাচ্ছিল অখীল বন্ধু ঘোষ......
তোমার সাথে দেখা না হলে
ভালোবাসার দেশটা আমার দেখা হতো না।
তুমি না হাত বাড়িয়ে দিলে
এমন একটি পথে চলা শেখা হতো না।
গানের লিন্ক:
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।