বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
যা দেখছি তাই কি কবিতা না? এই মেয়েটির অপূর্ব পূজো পূজো ভঙ্গিমাটি কবিতা না? এর আত্যন্তিক বাঙালিয়ানা। একে কর্পোরেট কতটা বদলে দিতে পারে? কতটা ইউরোপীয় করে তুলতে পারে কর্পোরেট একে? শাড়িটা ছিঁড়ে স্কাট পরাতে পারে? জানি, একপক্ষ বলবেন: মানুষের স্বাধীনতায় আস্থা রাখুন। এই মেয়েটির যা খুশি তাই পরার স্বাধীনতা আছে।
অন্যপক্ষ বলবেন, সে তো মানলাম। কিন্তু, সেজন্য বাঙালিয়ানা ছাড়তে হবে! কি সুন্দর লাগছে মেয়েটিকে দেখতে। ঠিক যেন জীবনানন্দের রুপসী বাংলার মতন। ঠিক যেন এক খন্ড বাংলাদেশ। এ মেয়ে জিন্সের প্যাট পরবে কি!
ভাবছিলাম, কর্পোরেটের আগ্রাসনে কেউ কবিতা না-লিখলে এ জগৎ থেকে ঈশ্বর তার তল্পিতল্পা গুটিয়ে নেবেন কিনা!
কথাটা আজ মনে হল মুযীয মাহফুজের একটি মন্তব্য থেকে।
তিনি কবিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্ন, কর্পোরেটের শীতল আগ্রাসন নিয়েও । কী কবিতার ভবিষ্যৎ -কী কবির ভবিষ্যৎ- এসব প্রশ্ন তাঁকে ভীষণ তাড়িত করছে।
তাঁর উদ্বেগ আমাকেও ছুঁলো। তাই তো কী কবিতার ভবিষ্যৎ -কী কবির ভবিষ্যৎ।
কর্পোরেটের আগ্রাসনে কেউ কবিতা না-লিখলে এ জগৎ থেকে ঈশ্বর তার তল্পিতল্পা গুটিয়ে নেয় তো?
আবার আমার এও মনে হল। কর্পোরেট মানে কাঁচামাল। কাঁচামাল মানে কৃষকের উৎপাদন, তার বাঁচা মরা। আবার এক পক্ষ বলবেন, শতকরা কত ভাগ কাঁচামাল কেনা হয় এদেশের কৃষকদের কাছ থেকে? সবই তো বাইরে থেকে আসে। যে পেস্ট দিয়ে রোজ দাঁত মাজছেন দেখেন যে ওটার টিউবে ম্যানিলা লেখা।
তাই তো। কাঁচামাল! কৃষক! সাম্রাজ্যবাদ! কর্পোরেট! ...মাথা কেমন টলে ওঠে।
বাদ দেন। এইসব কর্পোরেট-সাম্রাজ্যবাদ ভুলে আসুন কবিতা পাঠ করি।
“বনলতা সেন।
”
বাংলায় না-ইংরেজিতে। কর্পোরেটের শাসন তো।
Long I have been a wanderer of this world,
Many a night,
My route lay across the sea of Ceylon somewhat winding to
The seas of Malaya.
I was in the dim world of Bimbisar and Asok, and further off
In the mistiness of Vidarbha.
At moments when life was too much a sea of sounds,
I had Banalata Sen of Natore (now Bangladesh) and her wisdom.
I remember her hair dark as night at Vidisha,
Her face an image of Sravasti as the pilot,
Undone in the blue milieu of the sea,
Never twice saw the earth of grass before him,
I have seen her, Banalata Sen of Natore.
When day is done, no fall somewhere but of dews
Dips into the dusk; the smell of the sun is gone
off the Kestrel's wings. Light is your wit now,
Fanning fireflies that pitch the wide things around.
For Banalata Sen of Natore.
For thousands of years I roamed the paths of this earth,
From waters round Ceylon in dead of night to Malayan seas.
Much have I wandered. I was there in the gray world of Asoka
And Bimbisara, pressed on through darkness to the city of Vidarbha.
I am a weary heart surrounded by life's frothy ocean.
To me she gave a moment's peace-Banalata Sen from Natore.
Her hair was like an ancient darkling night in Vidisa,
Her face, the craftsmanship of Sravasti. As the helmsman,
His rudder broken, far out upon the sea adrift,
Sees the grass-green land of a cinnamon isle, just so
Through darkness I saw her. Said she, "Where have you been so long?"
And raised her bird's-nest-like eyes-Banalata Sen from Natore.
At day's end, like hush of dew
Comes evening. A hawk wipes the scent of sunlight from its wings.
When earth's colors fade and some pale design is sketched,
Then glimmering fireflies paint in the story.
All birds come home, all rivers, all of this life's tasks finished.
only darkness remains, as I sit there face to face with Banalata Sen.
কবিতার অনুবাদ কবির নিজের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।