অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত!
আমাদের দেশের শিক্ষানীতি যেই কাঠামোতে আবদ্ধ, সেই কাঠামোতে বুয়েট ও মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীদের সবাইকে জুয়েল ছেলে বলা হয়।
কিন্তু একটু ভাবলে এবং বর্তমান বান্তব পরিস্থিতির কথা চিন্তা করলে দেখা যায়, বুয়েট এবং মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীদের নীতিগত আদর্শের মান অনেক নিচে নেমে গিয়েছে। তাদের মধ্যে ঢুকে গেছে জামাত-শিবিরের ধর্মান্ধ(ধর্মপ্রাণ নয়), ফ্যাসীবাদী, শোষণকারী, ধর্ষণকারী, উগ্র-জংঙ্গিবাদী ও নিজস্ব সংস্কৃতি বিমুখতাকারী নীতিসমূহ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দেশের প্রতি যে পরিমাণ টান বা নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি যে পরিমাণ আগ্রহ, আকাঙ্খা দেখা যায়, তাদের মধ্যে তার বিন্দুমাত্র নেই, তাদের চিন্তা শুধু ব্যাক্তি কেন্দ্রিক।
এটা আমি আমার মেডিকেল ও বুয়েট পড়ুয়া কাছাকাছি বন্ধুদের দেখে আরো ভালভাবে বুঝতে পেরেছি।
উদাহরণসরূপ, একজন সরকারি মেডিকেলের ছাত্র পরবর্তী জীবনের সুখের কথা চিন্তা করতে গিয়ে ভুলে যায় তার স্বকীয়তা, তার মাতৃভূমির কথা। মাতৃভূমির জন্য তার কতটুকু কর্তব্য সেটুকু ভুলে যাচ্ছে।
এখন, গরীব- নিঃস্ব- অসহায় জনগনের টাকায় পড়ছে। কিন্তু, পড়ে তাদের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে ৫০০-১০০০ টাকা করে ভিজিট নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে ঢুকে বড়লোকের সেবাদাসে পরিণত হচ্ছে।
এ হচ্ছে মেডিকেল স্টুডেন্টদের বর্তমান নীতিগত আদর্শ; বুয়েটের বেলায়ও একই।
তবে ব্যাতিক্রম যে নেই, তা নয়। আমরা চাই সেই ব্যাতিক্রমরা অন্তত দেশের কল্যাণে তাদের নিজ অবস্থান থেকে সেই সব নীতিহীনদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করবে। আর, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক-শ্রমিক, দরিদ্র অসহায় গণজনতার সাথে থাকবে।
নয়তো একদিন তারা সকলে মিলে এর হিসেব চাইবে!
তখন কিন্তু তাদের পালাবার পথ থাকবে না!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।