প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি
মণিপুরীদের মহারাস উৎসব সম্বন্ধে বিস্তারিত পড়ুন এই পোস্টে...
মণিপুরী মহারাসোৎসবের আর মাত্র একদিন বাকী। মৌলবীবাজার জেলার কমলগঞ্জের মাধবপুর জোড়ামন্ডপ এবং আদমপুর সানাঠাকুর মন্ডপে একযোগে চলবে মণিপুরী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব মহারাসলীলা। ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা থেকে পরদিন ভোরবেলা পর্যন্ত চলবে রাসলীলার অনুষ্ঠান।
প্রায় এক মাসে আগ থেকেই চলছে রাস উৎসবের প্রস্তুতি। রাসে অংশ নেয়ার জন্য মণিপুরী তরুণ নৃত্যশিল্পীরা এখন 'অজা' বা নৃত্যগুরুর কাছে নৃত্য ও সংগীতের শেষ মুহুর্তের তালিম নিতে ব্যস্ত।
অবশ্য তালিম বলতে মুলত গ্রুপওয়ার্ক, কারণ উদার সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠা মণিপুরী ছেলেমেয়েরা জন্মগতভাবেই নৃত্য আত্মস্থ করে ফেলে। নৃত্যগীতবাদ্যকে মণিপুরী সমাজে অন্যতম আবশ্যিক ধর্মীয় কৃত্য হিসাবে গন্য করা হয়। সামাজিক প্রথাঅনুসারে সবাইকেই কোন না কোন সময় দেবতার সামনে নৃত্য, গীত বা বাদ্য পরিবেশন করতে হয়।
মণিপুরীরা নিজেদের আনন্দ উৎসবে নিজেদের নৃত্যগীতবাদ্যকে প্রতিবেশীদের সাথে ভাগাভাগি করাকে বিরাট গৌরবের বিষয় বলে মনে করে। তাই তাদের প্রধান উৎসব মহারাসলীলা ঢাক-ঢোল, খোল করতাল আর শঙ্খধ্বনীর মধ্য দিয়ে হয়ে উঠে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মুক্তপ্রাণের উৎসব।
১৬৬তম মণিপুরী মহারাস উৎসবের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানসূচী
* সকাল ১১ টা থেকে গোধূলী লগ্নঃ গোপরাস
* সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ৯ টাঃ লোকঐতিহ্যমুলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
* রাত সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১০টাঃ মণিপুরী নটপালা
* রাত ১১ টা থেকে পরদিন ভোরঃ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলানুসরন
(পোস্টটি আমার ব্লগে প্রকাশিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।