বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৩৭তম শাহাদাত বার্ষিকী
বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৩৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ২৮ অক্টোবর ৷ ১৯৭১ সালের এই দিনে তিনি মৌলভীবাজারের ধলাইতে পাকবাহিনীর সাথে মুখোমুখি বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ে শহীদ হন৷ তিনদিকে ভারতবেষ্টিত ধলাইতে ছিল পাক বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি৷ কৌশলগত দিক দিয়ে ধলাই পাক ঘাঁটি দখল করা জরুরী হয়ে পড়ে৷ সিদ্ধান্ত হয় ধলাই ঘাঁটি আক্রমণ করে দখল করা৷
জেড ফোর্সের সি কোম্পানীর কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাইয়ুমের নেতৃত্বে ২৮ অক্টোবর মুক্তিবাহিনী ধলাই পাকিস্তানী সেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে ৷ শুরু হয় প্রচণ্ড যুদ্ধ৷ পাকবাহিনীর দুটি মেশিনগান পোস্ট থেকে প্রচন্ড গুলিবর্ষণ করতে থাকে পাকসেনারা৷ ঐ পোস্ট দুটি ধ্বংস করা ছাড়া ধলাই ঘাঁটি দখল অসম্ভব হয়ে পড়ে৷ এ সময় সাহসী যোদ্ধা সিপাহী হামিদুর রহমানের উপর ঐ মেশিনগান পোস্ট দুটি ধ্বংসের দায়িত্ব দেয়া হয়৷ জীবন বাজি রেখে সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান গ্রেনেড নিয়ে এগিয়ে চলেন৷ তিনি গ্রেনেড চার্জ করে মেশিনগান পোস্ট ধ্বংস করেন৷
যুদ্ধ জয়ের শেষ পর্যায়ে পাকিসত্মানীবাহিনীর গুলীতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন৷ সহযোদ্ধাগণ তাঁর লাশ ভারতীয় এলাকায় নিয়ে যান৷ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে ৮৬ কিলোমিটার দূরে আমবাসা শহরের পাশে হাতিমারাছড়া গ্রামে সামরিক মর্যাদায় হামিদুর রহমানকে দাফন করা হয়৷ তারপর স্বাধীনতার দীর্ঘ ৩৭ বছর পর গত বছরের ডিসেম্বরে বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ ভারত থেকে তাঁর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে এনে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সামরিক কায়দায় ঢাকায় পুনঃ সমাহিত করা হয়৷ বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ৩৭ তম শাহাদাতবার্ষিকীতে তাঁর নিজ গ্রাম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার হামিদনগরে (পূর্ব নাম খর্দ্দখালিশপুর) তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।