আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাচীন মিশরের Book of the Dead ; মানবসভ্যতার সবচে স্থূল ও বিভৎস গ্রন্থ!

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ

যখন প্রথম Book of the Dead আবিস্কৃত হল -তখন একে ভাবা হয়েছিল প্রাচীন মিশরের বাইবেল। না। এটি স্বর্গীয় প্রত্যাদেশ নয়; প্রণালীবদ্ধ ধর্মীয় বিধানও নেই এতে।

যা আছে তা পরলোক সম্বন্ধে বিকৃত ধ্যানধারনা। জার্মান মিশরতাত্ত্বিক কার্ল রিচার্ড লেপসিয়াস Book of the Dead শব্দটি উদ্ভাবন করেছিলেন। ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি এর কিয়দংশ প্রকাশ করেন। Book of the Dead কে প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় Reu nu pert em hru বলা হত। বাক্যটিকে ইংরেজি করলে দাঁড়ায়:The Chapters of coming forth by day. বাংলা করলে দাঁড়ায় "আসন্ন দিনের অধ্যায়।

" সময়ের সঙ্গে সঙ্গে Book of the Dead-এর বক্তব্য বিবর্তিত হয়েছিল। তবে মূল বিষয় ছিল একটাই-মৃতের জগৎ। এ কারণেই প্রাচীন মিশরের Book of the Dead ; মানবসভ্যতার সবচে অসুস্থ গ্রন্থ; কেননা এটি পরকালবাদের উৎস। পরলোকে বিভৎস ও স্থুল ধারনাটি প্রাচীন মিশরীয়রাই ছড়িয়েছে; যা এখনও তিনটি আব্রাহামিক ধর্মে গৃহিত হয়ে ক্ষতের মত টিকে রয়েছে। Book of the Dead আসলে প্যাপিরাসের উপর লেখা তন্ত্রমন্ত্র সম্বলিত কতগুলি অধ্যায়ের সংগ্রহ।

পরকালে কী ভাবে সুখি থাকা যাবে সে বিষয়ে বর্ননা । ভয়ানক অজ্ঞ উন্মাদ লোকের কান্ড। প্রকান্ড এক বিভ্রম! যা আমরা আজও টিকিয়ে রেখেছি! মানবশিশুকে যা শেখাবেন- সে তাই শিখবে। তাকে ৩ হাজার বছর ধরে পরকাল সম্বন্ধে শেখানো হয়েছে। সে তাই শিখেছে! কাজেই একাল ও পরকালের মধ্যে দাঁড়িয়ে সে ঘোঁট পাকিয়েছে।

তার কারণ: Book of the Dead নামে ওই মানবসভ্যতার সবচে অসুস্থ মিশরীয় গ্রন্থটি! ইচ্ছে হলে পড়ে দেখতে পারেন- http://www.wsu.edu/~dee/EGYPT/BOD125.HTM http://www.egyptartsite.com/book.html

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।