রাজধানীর প্রগতি সরণিতে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তায় অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভেতরে গাড়ি রাখার সুযোগ থাকলেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে গাড়ি পার্কিং করা হয় মূল সড়কে। এতে যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালালেও কমেনি। একপর্যায়ে পুলিশ রেকার নিয়ে এলেও হুমকির মুখে তারা কাজ করতে পারেনি।
এ সময় পুলিশ সদস্যদের অসহায় মনে হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, গতকাল সকালে যমুনা ফিউচার পার্কের ফুডকোর্ট উদ্বোধনের পর থেকেই যানজট শুরু হয়। সকাল থেকেই প্রচুর গাড়ি আসতে থাকে যমুনা ফিউচার পার্কে। যমুনা ফিউচার পার্কে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে বলা হলেও কোনো গাড়িই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এতে করে গাড়ির মালিকরা বেকায়দা পড়েন।
তারা যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়কে এলোপাতাড়িভাবে গাড়ি পার্ক করে রাখেন। ধীরে ধীরে অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হতে থাকে। যমুনা পার্ক থেকে শুরু করে ফ্লাইওভার পর্যন্ত গাড়ি পার্ক করে রাখতে দেখা যায়। এতে করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নতুন বাজার থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। সাধারণ মানুষকে যানবাহনে বসে থাকতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
রামপুরা থেকে আগত ব্যবসায়ী শফিক জানান, ফিউচার পার্ক দেখতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই তার গাড়ি ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যমুনা ফিউচার পার্কের লোকজন তাকে পরামর্শ দেন, রাস্তার ওপরই গাড়ি যেন পার্ক করে রাখেন। পুলিশ তাদের কোনো ডিসটার্ব করার সাহস পাবে না। ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য জানান, তারা অবৈধ পার্কিং না করতে বার বার অনুরোধ জানালেও কোনো কাজে আসেনি।
যমুনা ফিউচার পার্কের লোকজন তাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে গেছেন। এরপর রেকার নিয়ে এসে গাড়ি সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তাদের হুমকির কারণে রেকার বসিয়ে রাখা হয়। রেকার দিয়ে কোনো গাড়ি সরানো সম্ভব হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।