জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
চিকিৎসা সেবার বিনিময়ে রোগীর কাছ থেকে ভ্যাট আদায় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। নিঃসন্দেহে ভাল খবর এটি। খবরে বলা হয়েছে, রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসাপত্র এবং প্যাথলজিকাল টেস্টসহ সব ধরনের রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভ্যাট আদায় বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থী ও অবৈধ ঘোষণা করে এ ধরনের ভ্যাট আদায় না করার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
২.২৫% ভ্যাট দেয় রোগীরা। মূলত ভ্যাট দেয়ার কথা তারই যে সেবা দেবে, যে সেবা নেবে সে ভ্যাট দেবে না।
সেই হিসেবে উচ্চ আদালত রোগীদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করা বন্ধ করতে বলেছে।
আমাদের দেশে বেশির ভাগ চিকিৎসক তাদের যে ভিসিট আদায় করে থাকেন, তার উপর ভ্যাট দেয়া বাধ্যতামূলক। রোগীর ভিসিট নেয়ার পর রোগীকে ভ্যাটের রশিদ দেয়া উচিত। কিন্তু কোন চিকিৎসকই ভিসিট নেয়ার পর ভ্যাটের রশিদ তো অনেক দূরের কথা, কোন রশিদই দেন না। ফলে তারা নির্দ্বিধায় ভ্যাট ও আয়কর ফাকি দেন।
অন্য দিকে, আইনে যাই থাকুক, ভিসিটের বিনিময়ে রোগী দেখে সেই রোগীকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে কমিশন খাওয়া কতটুকু নৈতিকতাসম্পন্ন ? তিনি তো তার সেবার জন্য ভিসিট পাচ্ছেন। এই ভিসিটের বিনিময়ে তিনি রোগীকে ভালো চিকিৎসা দেবেন এবং একান্ত প্রয়োজন না হলে কোন টেস্ট করাবেন না। কিন্তু বড় বড় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের কমিশন বাবদ ৫০% কমিশন দেয়ার অলিখিত নিয়ম আছে। এই নিয়মের ফলে চিকিৎসকরা অনর্থক প্রচুর টেস্ট করাতে দিচ্ছেন। বিনিময়ে কমিশন হিসেবে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।
তাছাড়া ভালো চিকিৎসকেরা তাদের মন মতো ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে কমিশন খান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ফ্রি চেম্বার পান এবং তাদের সরকারী হাসপাতালে রোগী দেখা বাদ দিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে পড়ে থাকেন। দিনের পর দিন এই অনিয়ম চলে এলেও কোন প্রতিকার নাই। মানবসেবার মহান পেশার ব্রত গ্রহণ করে এই সব অনিয়ম করা কি উচিত ?
রোগীর কাছে ভ্যাট আদায় যদি অবৈধ হয়, তবে রোগীর জীবনকে জিম্মি করে কমিশন খাওয়া কেন অবৈধ হবে না ?
খবর এখানে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।