নাজমুল হাসান পাপন ও সাবের হোসেন চৌধুরী ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। দুজনেই নিজেদের প্যানেল গোছাতে পার করছেন ব্যস্ত সময়। যদিও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ঘোষণা করেনি নির্বাচনের তারিখ। ঠিক করেনি নির্বাচন কমিশন। চেয়ে পাঠায়নি কাউন্সিলরদের নাম।
তারপরও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বিসিবির পরিচালক হতে আগ্রহী প্রার্থীরা। পরিচালক পদে নির্বাচন করতে চাইছেন চার সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, আকরাম খান, নাইমুর রহমান দুর্জয় ও খালেদ মাহমুদ সুজন। সাবেক অধিনায়করা পরিচালক পদে নির্বাচন করতে চাইছেন মূলত ক্রিকেটের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক দুর্জয় এখন অ্যাডহক কমিটির পরিচালক। এবার তিনি কাউন্সিলর হচ্ছেন জন্মভূমি মানিকগঞ্জ জেলা থেকে।
নির্বাচন করবেন ক্যাটাগরি '১' থেকে। নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করে বলেছেন, 'আমি ক্রিকেটার ছিলাম। কোচিং করাইনি। যদিও নির্বাচক ছিলাম। নির্বাচক হয়ে পুরোপুরি ক্রিকেটের উন্নতি করা সম্ভব নয়।
পরিচালক হিসেবে সেটা সম্ভব বলে আমি মনে করি। তাই নির্বাচন করতে চাইছি। ' এক সময় জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। আকরাম খান এখন প্রধান নির্বাচক। প্রধান নির্বাচক হলেও পরিচালক পদে নির্বাচন করার আগ্রহ পোষণ করেছেন চট্টগ্রামের ক্রিকেটের উন্নয়নের স্বার্থে, 'আমি এখন প্রধান নির্বাচক।
আর্থিক সমস্যাও নেই। নির্বাচক হিসেবে আমি মনে করি কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পরিচালক হিসেবে সেই সীমাবদ্ধতা নেই। আমি পরিচালক হতে চাই মূলত চট্টগ্রাম ক্রিকেটের পুরনো অবস্থা ফিরিয়ে আনতে। চট্টগ্রামবাসীরও একই দাবি।
' দুর্জয় ও আকরাম দুজনেই পরিচালক পদে নির্বাচন করবেন ক্যাটাগরি '১' থেকে। আকরাম কাউন্সিলর হতে চাইছেন চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ পরিচালক হতে চাইছেন ক্যাটাগরি '৩' থেকে। এই ক্যাটাগরি থেকে বিসিবির পরিচালক ছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। এবার সুজন এই ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী হওয়ায় লিপুকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে।
সুজনকে ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) সমর্থন দিয়েছেন। সুজন অ্যাডহক কমিটির পরিচালক ছিলেন। কিন্তু কোচিংয়ের জন্য ছেড়ে ছিয়েছিলেন পরিচালকের পদ। লিপুও ক্যাটাগরি ৩ থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন,' আমি ক্যাটাগরি ৩ থেকে নির্বাচিত পরিচালক ছিলাম। এবারও এই ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচন করব।
'
ক্রিকেট বোর্ডের ইতিহাসে কোনো কমিটিতেই জাতীয় দলের একাধিক অধিনায়ক পরিচালক ছিলেন না। যদি চার সাবেক অধিনায়ক পরিচালক হন, তবে সেটা হবে বিসিবির নতুন ইতিহাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।