২৩ শে অক্টোবর গেছিলাম চট্টগ্রাম আমার পূণ্য মা কে আনতে।
Click This Link
সেদিন সন্ধ্যার গাড়িতে আমার ওঠার খবর মেয়ে জানত। বেশ রাত অব্দি অপেক্ষা করে তারপর ঘুমাবার আগে ঘোষনা দিয়েছিল" ঘুম থেকে উঠে বাবাকে প্রথম দেখব। "
ওর ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল। আমি সকালে বাসায় গিয়েই তা ঘুম ভাঙ্গাই।
দীর্ঘদিন বাবাকে না দেখে মেয়ে তো আমার দিকে চাইবেইনা। যেন নতুন মানুষ দেখছে!
আবহাওয়া যেন কোমর বেঁধে আমার পিছু লেগেছিল। যাবার পর (২৪ তারিখ) থেকেই টিপ্ টিপ্ ঝরছেই। এদিকে মেয়েকে নিয়ে আমার পতেঙ্গা যাবার কথা। শুক্রবার হলনা; শনিবারে সকালে রিয়াজুদ্দিন বাজার হকার্স মার্কেটে ঢুঁ দিলাম, বিকেলে কয়েকজনা মিলে গেলাম বীচে।
হাতে মাত্র আর একদিন। কারন রবিবার সন্ধ্যায় ফিরতি গাড়ি ধরব। সোমবার অফিস। কাজেই যা বেড়াবার আমাকে এর মাঝেই সারতে হবে। পূণ্য আর ওর মা প্রায় সবার বাসায় বেড়িয়েছে।
কারণ ওরা ৯ তারিখ থেকে আছে। আমার অত বেড়ানো নাই। আমার একমাত্র জরুরী কাজ শুঁটকী মাছ কেনা। রোববার সকালে বহদ্দার হাট থেকে কিনলাম আমার প্রিয় ছুরি, লইট্টা আর রূপচাঁদা শুটকী। এক কাঁা রূপচাঁদা বিক্রেতাকে দেখলাম তার ঝুড়ি থেকে মাছ বের করে একটা বালতির পানিতে চুবিয়ে তারপর বিক্রির জন্য সাজাচ্ছে।
আমার ধারনা পানিতে ফরমালিন দেয়া। খারাপ লাগল দেখে। রাজশাহীতে একটা বিষয় ভাল লাগে; অন্ততঃ মাছটা ফ্রেশ খাই। রীতিমত বড় ডেকচি ভর্তি পানিতে সাঁতার কাটা জ্যান্ত বড় বড় রুই কাতলা উঠিয়ে মেপে দেয়া হয়।
প্রায় শেষ মূহুর্তে জানতে পারলাম চট্টগ্রাম আসা এতদিন হল অথচ আমার মেয়ে পাহাড়ে চড়েনি।
কি করি... রোববার দুপুরের দিকে ওকে নিয়ে বন গবেষণা ইন্সটিটিউটে বেড়িয়ে আনলাম।
সোমবার সকালে ফিরে ১৯টা নতুন মন্তব্য পেয়েছি। খুব ভাল লাগছিল তখন। কিছু লেখার ভীষণ ইচ্ছা থাকলেও ক'দিন এমন চাপ যাচ্ছে, অফিস + এমবিএ (আজও মান্থ এন্ড অতঃপর রাত ১০ টা অবধি আই,বি,এ তে ক্লাশ ছিল) যে ফুরসত বের করতে পারছিলামনা।
ব্লগের সব বন্ধুকে প্রান ভরা শুভেচ্ছা।
আমার অজানা অদেখা অথচ ভীষণ আন্তরিক বন্ধুদের সব্বাইকে ভীষণ মিস্ করেছি ক'দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।