যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
এই মূর্তিসকল সেই বিশেষ্যের প্রতিমূর্তি যারা প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন অগ্রবর্তী সময়ের নায়ক হিসাবে। সেজন্য লালনের/বাউলের মূর্তি বিগত উৎকর্ষতার স্মৃতিস্তম্ভরূপে পূজ্যনীয়। লালনের প্রতিটা বিষ্ময়কর উদ্ভাবন সামনে এগিয়ে চলার। সুপ্রাচীনকালের কোন এক শতকে নিদৃষ্ট করে দেয়া এই বিশ্বের ক্রমস্ফূরণ অবাস্তব, এখনও যারা তাই মনে করে তাদের গুড়িয়ে দেবার সময় হয়েছে। একজন লালন যখন বিশ্বের নতুন রূপ দেখান তিনি হয়ে ওঠেন যে কোন বিগত ঋষির চেয়ে ধনী।
চলনে, বলনে সময়ের অগ্রগতীর স্মারকে তার দেখানো রূপ আমাদের প্রলুব্ধ করে শেকড় অন্বেষণের।
ইশ্বরের মূর্তির দরকার নেই। কিন্তু একজন লালনের মূর্তি দরকার। তিনি আমাদের ইশ্বরের রূপ দেখান না, মানুষের অনুভব প্রদান করেন। যে মানুষ যেকোন পাঁচটা/দশটা ইশ্বরের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী - ইশ্বরদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ যেখানে চিরপরিচিত রূপ সেখানে একজন লালন মানুষের জাতের কোন বিভেদ দেখেননি।
বাংলাদেশের প্রবেশমুখে লালন বাঙালীকে পরিচয় করিয়ে দেবে বিশ্বের সাথে। বিজাতীয় কোন ভাষার, দেশের অপ ধর্ম ও সংস্কৃতি থেকে এই পৌত্তালিকতা আমাদের মজ্জাগত রূপেই জানতে দিতে হবে বিশ্বকে। লালনের মূর্তি চাই বিমানবন্দের সম্মুখে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।