আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঔপন্যাসিক মীনা ফারাহ'র ছেলের লাশকে প্রথমে জানাজা, পরে দাহ!!!



নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী লেখিকা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ডেন্টিস্ট মীনা ফারাহ'র ছেলের লাশ প্রথমে জানাজা ও পরে দাহ করা নিয়ে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বেশ আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জানা যায়, মীনা ফরাহ'র বড় ছেলে সাফায়েত রেজা গত ২ সেপ্টেম্বর এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে টানা আট দিন হাসপাতালে থাকার পর মারা যান ১০ সেপ্টেম্বর। সাফায়েত এ বছর ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করেছিলেন। মৃত্যুর পর মীনা ফারাহ'র স্বামী অর্থাৎ সাফায়েতের পিতা ফরহাদ রেজার ইচ্ছানুয়ায়ী ওইদিনই সকাল সাড়ে আটটায় মুসলিম রীতি অনুযায়ী তার জানাজার নামাজ সম্পন্ন করা হলেও পরে মা মীনা ফারাহ'র তত্ত্বাবধানে কঠোর পুলিশি পাহারায় হিন্দু ধর্মমতে একটি সেমিটারিতে নিয়ে তার মৃতদেহ দাহ করা হয়। এ নিয়ে নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী বিশেষত মুসলিম কমিউনিটিতে প্রচণ্ড প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

১০ সেপ্টেম্বর ঘটিত ওই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভলান্টিয়ার অব বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে মুসলিম যুবকের লাশ দাহ করাকে মানবাধিকারের পরিপন্থী আখ্যায়িত করে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা দেশে বিদেশে সকল বাংলাদেশীর প্রতি মীনা ফারাহকে বয়কটের আহ্বান জানিয়ে জ্যাকসন হাইটসে অবস্থিত মীনা ফারাহ'র মালিকানাধীন বাংলাদেশ প্লাজার সামনে জুতা বিক্ষোভ প্রদর্শনের ভিতর দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘটান। এই ঘটনার দুইদিন পর ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাংলাদেশ প্লাজায় এক সংবাদ সম্মেলন করে মীনা ফারাহ উপস্থিত সকলের উদ্দেশে বলেন, তার ছেলে অর্ধেক হিন্দু এবং অর্ধেক মুসলমান ছিল। সে যেমন তার পিতার সাথে মসজিদে নামাজে যেত, একইভাবে তার সাথে মন্দিরে পুজা দিতেও যেত। আর তার ছেলের শেষকৃত্য কিভাবে হবে সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় বলেও জানান তিনি।

এ নিয়ে কেউ কেউ জল ঘোলা করার প্রয়াস চালাচ্ছে, আর বেশি বাড়াবাড়ি হলে তিনি আইনি ব্যবস্থার দ্বারস্থ হবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এই সংবাদ চলাকালে বাংলাদেশ প্লাজার অনতিদূরে সাফায়েতের সহপাঠী কয়েকজন ছাত্রছাত্রী একটি ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ব্যানারে তারা সাফায়েতকে মুসলিম দাবি করে বলেন, দুর্ঘটনার দিনও সে রোজা রেখেছিল এবং সে নিয়মিত নামাজ পড়ত। ওই সময় স্থানীয় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পড়ায় সবাই দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য, ঔপন্যাসিক মীনা ফারাহ একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী।

তার মূল নাম মীনা রানী সাহা। স্বামী ফরহাদ রেজা একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী পুরুষ। দু'জনে একত্রে সংসার করলেও তারা স্ব স্ব ধর্ম পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.