ফেলানী হত্যায় ভারতের প্রহসনমূলক বিচার নিয়ে অনেকেই প্রতিবাদ করে অনেক কিছু লিখেছেন। কিন্তু আমি গতকাল কিছু লিখিনাই। এর একটা কারন আছে। কারনটা হল পাকি দালালদের মত আমাদের দেশে ভাদা মানে ভারতের দালালও আছে। এই বিচারের ব্যাপারে এই ভাদাদের অবস্থানটা জানতেই একদিন অপেক্ষা করলাম।
এই ভাদাদের বড় একটা মিডিয়া আছে,যার স্লোগান হল''যেখানেই দাদাদের জন্য ভাল,সেখানেই আছে মতির আলো''
আশা করি বুঝতে পারছেন।
যেখানে সব পত্রিকা এমনকি ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুম পর্যন্ত বলেছে যে এইটা প্রহসনমূলক বিচার,সেখানে এই ভাদা প্রথম আলো প্রহসন বলতে নারাজ। কোন রকম চিপার মাঝে ছোট করে একটা খবর প্রকাশ করেছে। এরই নাম দাদাদের দালালী।
দ্বিতীয়ত্ব,আমাদের সরকার ভারতকে কড়িডোর দিয়েছে,মংলা বন্দর দিয়েছে,সুন্দরবন ধংসকারী রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের ছাড়পত্র দিয়েছে।
অথচ বর্ডারে হাজারো হত্যার মাঝে মাত্র একটা ফেলানীর বিচার চাইতে পারেনি!
সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হল,এই মামলায় আমাদের সরকার বাদী পর্যন্ত হয়নি!
আর রায় নিয়ে কথা বলবে কিভাবে?ওপাড়ের দাদারা যদি নারাজ হয়,তাহলেতো পরম বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাবে।
হাজারো ফেলানী নির্বিচারে মারা যাক,তবু বন্ধুত্ব চির অমর হোক!
আর ঠিক এই সময় আমাদের পরের রাষ্ট্রের মন্ত্রী ফেলানীর রক্ত মাখা টাকা দিয়ে লাস ভেগাসে পরম আনন্দ ভ্রমনে দিনাতিপাত করিতেছেন।
দাদাদের হাতে আমি আপনি মরলেও কিন্তু এর বিচার হবেনা,মাইড ইট।
তৃতীয়ত্ব,বিএনপি,জামায়াত,জাতীয় পার্টিসহ অনেক বিরোধী দল আছেন,তারাও কিন্তু এই বিচারের রায় নিয়ে দলীয়ভাবে মুখ খুলেনি!
কি দরকার একটা ফেলানীর জন্যে মুখ খোলার!মুখ বন্ধ রাখলে যদি দাদাদের সাথে সম্পর্কটা মজবুত রাখা যায়,তাতে মন্দ কি?ফেলানী মরুক তবু ক্ষমতায় আশার সুযোগ চাই।
চতুর্থত্ব,আমাদের স্বাধীনতার চেতনাধারী শাহবাগ থেকেও কিন্তু এ ব্যাপারে চুপ!মুসলিম দেশ নামের জঙ্গি হলে লাঠি মিছিল হত,কিন্তু ওরা তো দাদা!দাদারা মেরেছে,তাতে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে কোন আঘাত লাগেনি।
দাদারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি,ফেলানী মরুক,পুরো বাংলাদেশ মরুক,তাতে চেতনার সমস্যা কি?
দাদারা তো তাদের সাথে আছে,তাই না?
আর আমাদের কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্দী নাকি বুদ্ধিজীবী আছেনা?যারা রাজনৈতিক স্বার্থে লজ্জা পেয়ে কলম দিয়ে রক্ত ঝড়ায়?
না উনারাও এ ব্যাপারে লিখবেন না। কারন ফেলানীদের রক্ত দিয়েই তো উনারা দলীয় কলাম লিখে। ফেলানীর রক্ত না হলে দলের পক্ষে লিখবে কি দিয়ে?আর পেট চলবে কিভাবে?
ফেলানীকে নিয়ে লিখলে তো আর পেট চলবে না!
সর্বশেষে দানবাধিকার নাকি মানবাধিকার কর্মী কি যেন নাম?
ও হে আন্ধা মিজান!
আমি ভাঙ্গা হারিকেন আর ফিউজ লাইট দিয়া এই আন্ধা দালালটারে খুজতেছি,কারন যেখানে ভারতের মাসুম এটাকে বিচারের নামে প্রহসন বলে বিবৃতি দেয়,সেখানে এই দালালটারে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি এই কানারে খুজে পেলে,অতিসত্বর বর্ডারের কাটাতারে ঝুলিয়ে দিয়ে আসবেন। আশা করি ওপাড়ের শকুনগুলো স্বাদরে গ্রহন করবে।
অবশেষে বলতে চাই,শকুনদের আদালতের রায় আমি মেনে নিলাম,ফেলানী হত্যার জন্যে ওপাড়ের শকুনগুলো দায়ী নয়। তবে ফেলানী হত্যার জন্যে দায়ি এদেশের জন্ম কুলাঙ্গার ভারতীয় দালালগুলো। এই দালালদের কারনেই ফেলানীর মত হাজারো বোন কাটাতারে ঝুলে থাকতে হয়,শকুনদের পাশে বর্ডারের কাটাতারে ঝুলে থাকতে হয় পুরো বাংলাদেশ!
তাই আমি এই ভারতের দালালগুলোর বিচার দাবী করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।