সঙ্গে সাহিত্যের সুবাস ...
পর্ব ১: Click This Link
পর্ব ২:
Click This Link
আমার ব্যক্তিগত প্রসঙ্গটি এখানে পাড়লাম কেবলই আলোচনার সুবিধার্থে, ব্যক্তিজীবন বা সাংসারিক করুণদশা, কোনোটাই জানাতে নয়। আলোচনার খাতিরেই আমি এবার বাংলাদেশের কয়েকজন এক্টিভিস্টের নাম নিতে চাইবো। এরা হলেন ফরহাদ মজহার, শহীদুল আলম, রেহনুমা আহমেদ, আনু মুহাম্মদ, সলিমুল্লাহ খান প্রমুখ। এধরনের মাত্র কয়েকজনের নামোচ্চারণের মাধ্যমে অন্যদের খাটো করতে চাইনা, তবে এরা দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের এক্টিভিজমের সঙ্গে যুক্ত, এবং এদের কমবেশি সবাই চেনেন, এবং এদের নামের মাধ্যমে আমি আসলে আমার যুক্তি তুলে ধরতে চাই।
কবি ও লেখক ফরহাদ মজহার তার স্ত্রী ফরিদা আখতারের সঙ্গে নয়াকৃষিসহ নানা ধরনের এ্যাক্টিভিজমে যুক্ত।
তার শিষ্যের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু তার মতাদর্শিক শিফট অনেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষত সাম্প্রতিক বাংলাদেশে প্যান ইসলামিক উন্মাদনার তাত্ত্বিক ভিত্তি তার লেখালেখি থেকেই দাঁড়িয়েছে। শহীদুল আলম বিখ্যাত ফটোগ্রাফার, ফটোগ্রাফি ও ব্লগের মাধ্যমে (http://www.shahidul.wordpress.com) তার এক্টিভিজম সর্বজনবিদিত। তবে পাঠশালা এবং দৃকের বিভিন্ন কার্যক্রমে ইউরোপনির্ভরতার কারণে তিনি কতটা স্বাধীনভাবে এক্টিভিজম চালিয়ে যেতে পারছেন তা নিয়ে আমি সন্দিহান।
নৃবিজ্ঞানী-শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ তার শিক্ষকতা ও এক্টিভিজমের মাধ্যমে অনেক তরুণ এক্টিভিস্ট তৈরি করেছেন। ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষায় তিনি মানবমুক্তির জন্য লিখে চলেছেন। অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে লিখছেন, কিন্তু তার কথা নীতিনির্ধারকরা শোনেননা। বাংলাদেশের সেলিব্রেটেড অর্থনীতিবিদ হলেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বা দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। আনু মুহাম্মদ সক্রিয় রাজনীতিবিদ -- ফুলবাড়িসহ অন্যান্য জনগণের আন্দোলনে তার ভূমিকা অবিসংবাদিত।
সলিমুল্লাহ খান মূলত তাত্ত্বিক, তবে মাঠেও তাকে পাওয়া যায়। আফগানিস্তান-ইরাক আক্রমণের সময় সাম্রাজ্যবাদবিরোধিতায় এবং 'আহমদ ছফা রাষ্ট্রসভা'র সেমিনারসমূহে ফরহাদ-সলিমুল্লাহর যৌথতা বেশ নজরকাড়া ছিল, তবে সেই যৌথতা সম্ভবত আর বলবৎ নেই। এশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি কেন্দ্রকে (কাক) ঘিরে সলিমুল্লাহ খানের এক্টিভিজম বর্তমানে চালু আছে।
এই এক্টিভিস্টদের মধ্যে আনু মুহাম্মদ ও রেহনুমা আহমেদ আমার বিশেষ প্রিয়। বাকিদের জ্ঞান ও কর্মে আমার শ্রদ্ধা থাকলেও নানা কারণেই একান্ত প্রিয় নন।
তার কারণ নিয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ কম। শুধু বলা যায় এই দুইজন এক্টিভিস্ট নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এবং এদের কারণেই মনে হতে পারে বাংলাদেশে খাঁটি এক্টিভিস্ট তাহলে পাওয়া সম্ভব।
তবে শুধু এই তথ্য দিয়েই এই সম্ভাবনাকে নাকচ করতে চাচ্ছি যে, দুজনেরই পিতৃপ্রদত্ত বা অন্যান্য উৎসের নানা সমর্থন আছে, থাকাখাওয়া বা জাগতিক অর্জন তাদের মৌলিক সমস্যা নয়। রেহনুমা আহমেদের পক্ষে জাবির অধ্যাপনার চাকরি একদিন হঠাৎ ছেড়ে দেয়া তাই সম্ভব হয়ে ওঠে।
দাঁড়ানোর জমিন শক্ত থাকায় খাঁটি এক্টিভিস্ট হওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে।
যা আমার বা আপনার পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়।
[আগামী পর্বে সমাপ্য]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।