ইমরোজ
আমাকে ছেড়ে দাও,
আমি খেলবো, মুক্ত আকাশের নিচে ক্রিকেট খেলা।
আমাকে কোচিং-এর জালে আটকিয়ে রেখো না।
আমাকে খেলতে দাও।
আমাকে ছেড়ে দাও,
আমি দৌড়ে বেড়াব মাঠঘাট প্রান্তর...তেপান্তর,
আমি স্কুলের গরাদের ভেতর থাকবো না।
আমি ফার্স্ট হতে চাই না,
আমি লাস্ট হয়েছি দেখে কটু কথা শুনবো না।
আমাকে ছেড়ে দাও, আমি বাউন্ডুলে হব।
মায়ের শাড়ির আঁচল দিয়ে নতুন দেশের পতাকা বানাবো,
আমি লেখাপড়া করে ঘুষখোর হব না,
আমাকে ছেড়ে দাও...আমি পাড়া মাতিয়ে বেড়াব।
আমি পড়াশোনা করে সোনার চামচে আমার সন্তান জন্ম দেব না।
আমাকে ছেড়ে দাও,
আমি উলঙ্গ হয়ে নদীতে ঝাপাব,
নেংটা হয়ে সাতরে বেড়াবো আকুল করে প্রাণ।
আমাকে ছেড়ে দাও,
আমি পৃথিবীর বুকে এনে দেব নতুন দিনের গান।
চোখের সামনে থেকে সরিয়ে ফেল, ব্যানার ফেস্টুন আর বিজ্ঞাপন,
নাহ, আমি কিছুতেই পড়বো না, আমি অমানুষ হতে চাই না।
যত ভালোই হোক তোমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নিকুচি করি আমি,
তোমার পাঠদান।
সেই কবে কালিরামের পাঠশালে পড়ে শিশুরা মানুষ হয়নি,
আমিও হব না।
আমি ঘৃণা করি এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে। আর আরও বেশি ঘৃণা করি এইদেশের বাপ, মাদের।
যারা নিজের সন্তানকে কোচিং-এর পর কোচিং করাচ্ছেন। রাতের পর রাত জেগে তাদের সন্তানের চোখের নিচে কালি পড়ে যাচ্ছে, তাতে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। আরও পড় ফার্স্ট হওয়া চাই। ফার্স্ট হয়ে কেউ কিছু করে দেখিয়েছে বলুন? কবে কোথায়?
আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে দেশের সমস্ত কোচিং সেন্টার পুড়িয়ে ছাড়খার করে ফেলতাম। সমস্ত স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা নিষিদ্ধ করে দিতাম।
কেন একটা প্রাণের মুল্যায়ন আমরা পড়াশোনা দিয়ে করি? কেন? তার দাম দিতে আমাদের এত কুণ্ঠাবোধ হয়? কেন শিক্ষকেরা আজ শিক্ষা বেঁচে খাচ্ছে? নির্লজ্জ বাঙ্গালী জাতের কাছে এই প্রশ্ন রেখে গেলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।