ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলার রায় অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
আজ শনিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের মিজানুর রহমান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আপিল সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে ভারতের মানবাধিকার কমিশন যেন নিজেদের সম্পৃক্ত করে, সেজন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। আমরা তাদের সহায্য ও সহযোগীতা কামনা করব। ’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘ফেলানীর যে রায়টি হয়েছে, এটা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্খিত।
আমাদের ভেতর একটা ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। কেননা রায়টি সম্পূর্ণরূপে ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। এটি বিচারের নামে তামাশা করা হয়েছে। শুধুমাত্র ফেলানীর আত্মার সঙ্গে নয়, তার পরিবারের সঙ্গে নয়, আমাদের বাংলাদেশের পুরো জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আর্ন্তজাতিক আইনের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
’
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফেলানীর বিচারটি হয়েছিল ভারতীয় অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এখানে যদি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়, তাহলে ভারতীয় রাষ্ট্রকেই ব্যবস্থাটা গ্রহণ করতে হবে। সেখানে আমাদের বাইরে থেকে কিছু করবার নেই। ’ তিনি বলেন, ‘তবে এরপর আমরা মনে করি, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারি পর্যায়ে এ বিষয়টি উত্থাপন করতে পারে। ভারতের কাছে এর গুরুত্ব সহকারে আমরা কতটা মর্মাহত হয়েছি. এটি যে ন্যায় বিচার হয়নি, আমাদের ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে এটি তুলে ধরতে পারে।
’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।