সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনায় বিএনপি নেতাকে খুনের ঘটনায় জেলা বিএনপি সভাপতিসহ ৫৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ এবং জেলা কমিটি স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
জানা যায়, জেলা মৎসজীবী দলের সাধারন সম্পাদক, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান খুনের অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে প্রধান আসামী করে বিএনপির ৫৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত আসামীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে আরো ৪০ থেকে ৫০ জনকে। হত্যাকন্ডের ঘটনায় আশাশুনি থানা মৎসজীবী দলের সাধারন সম্পাদক সাদিক আনোয়ার ছোট্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শক্রবার গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত আমানের মা ফাতেমা খাতুন।
এ ছাড়া দায়েরকৃত হত্যা মামলায় আসামীর তালিকায় রয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল হাসান হাদী, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক সাতক্ষীরা পৌর কমিশনার আইনুল ইসলাম নান্টা, সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম রিপন, জেলা স্বেচ্ছসেবক দলের সভাপিত তারিকুল হাসান, সাতক্ষীরা শহর বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাতক্ষীরা পৌর কমিশনার মাসুম বিল্লাহ শাহিন, বিএনপি নেতা শাহ কামরুজ্জামান কামু, কামরুজ্জামান ভূট্রো।
অপরদিকে শুক্রবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় মৎসজীবী দলের নেতা নিহত হওয়ার পর সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছে দলের কেন্দ্রী কমিটি। একই সাথে ঘটনা তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দলের চেয়ারপার্সনের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ ইফতেখার আলী।
এদিকে, নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে। আজ শনিবার দুপুর ২ টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
সদর থানার ওসি শাহজাহান খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, নিহত আমানের মা বাদী হয়ে যে এজহার দিয়েছেন তা শুক্রবার রাতেই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। যার মামলা নং ১৮। এদিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
পুলিশ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে মঞ্চে আসন গ্রহন, অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সাতক্ষীরা জেলা মৎসজীবী দলের নেতা আমান উল্লাহ আমান (৪৪) নিহত হন। এসময় জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ ইফতেখার আলী সহ আরো ১৫ জন আহত হন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।