যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: আগে শোনা কৌতুক হইতে পারে, তবে পরিস্থিতির বিচার কাম্য ]
১.
প্রথমেই রাজার নীতি বিষয়কটাই ঝটপট সেরে ফেলি:
বিমান দূর্ঘটনায় তিন বন্ধু উড়ে এসে পড়েছে এক নির্জন দ্বীপে। এতকাল ওরা আরাম আয়েশেই ছিলো, মায়ের বা বোনের হাতের অথবা পাড়ার হোটেলের খাবারদাবার খেয়ে, বিড়িসিগারেট ফুঁকে আর আড্ডাবাজি করে।
এখনএই নির্জন দ্বীপে কিভাবে চলবে? ক্যামনে কি?
তিন চারদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যখন তারা সারভাইভাল ফাইট দিতে দিতে ক্লান্ত, তখনই উপরওয়ালা তাদের ওপর কোন না কোন কারণে সদয় হলেন। তিনি পাঠালেন এক জ্বীনকে, "যা ব্যাটা, ওদের রক্ষে কর। "
জ্বীন উড়ে এসে জুড়ে বসে, মিষ্টি হাসি হেসে, মিহি-নরম গলায় বলে "বাছারা, আমি এসেছি তোমাদের আশা পূরণ করতে।
তোমাদের তিনজনের একটি করে আশা আমি পূরণ করব। " বড়লোক হবার মোক্ষম সুযোগ! কিন্তু তিনদিনের সারভাইভাল ফাইটে টালমাটাল তিনবন্ধু আর অতসব ভাবতে পারেনা।
প্রথমজন বলে ওঠে, "মা ছাড়া তো আর কেও নাই, আমারে আমার মায়ের কাছে ফিরাইয়া নিয়া যাও। "
"তথাস্তু!" বলেই জ্বীন তুবড়ি ফোটায়। চোখের নিমিষে প্রথমজন উড়ে চলে যায় মায়ের কাছে।
এটা দেখে আর তর সয়না দ্বিতীয়জনের। সে বলে " আমার আছেই খালি এক বোন, তার কাছেই আমারে নিয়া যাও। "
"তথাস্তু!" আবারও চোখের নিমিষেই।
কিন্তু সমস্যাটা হয় তৃতীয়জনের বেলা। দুইজনকে উড়ে যেতে দেখে তার চোখ-নাক-মুখে অন্ধকার নেমে আসে।
সে বলে, "দুনিয়াতে আমার কেউ নাই, ছিলো খালি ঐ দুই বন্ধু। এখন তুমি ঐ দুইজনকে ফিরায়া নিয়া আসো। "
"তথাস্তু!" ...
২.
(বলাইবাহুল্য, এটা ক্রিকেটনীতি নিয়ে)
ময়মনসিংহের কাহিনী। একলোক রেলওয়েতে কাজ করে। তার কাজ হলো এক রাস্তার মোড়ে বসে থাকা, ট্রেন আসার সময় রাস্তার দুইপাশের ব্যারিকেড নামিয়ে দেয়া।
তো বিয়ে করার আগ পর্যন্ত তার কোন সমস্যা ছিলোনা, সমস্যা হয় বিয়ের পরে। বউ যতই জিজ্ঞেস করে রেলওয়েতে সে কি করে সে কিছুই বলেনা। এ নিয়ে তার চিন্তারও শেষ নাই। সারাদিন ভাবে, "কেমনে কি করা যায়?"
অবশেষে একদিন বউকে সে বলেই ফেলে, "বউ, কালকে তোমারে আমার কাজের জায়গায় নিয়া যামু। দ্যাখবা, আমার কতো খ্যামতা (ক্ষমতা)!"
পরদিন বউকে নিয়ে সে কাজে আসে।
রাস্তার উপর একটা টুলে বসে থাকে স্বামী, এত ছোট চাকরী, দেখে বেচারীর মনটা খারাপ হয়। বউয়ের মনখারাপ দেখে লোকটা বলে, "ভাইবোনা আমার কাজটা ছোট। আমি কইলাম যারে ইচ্ছা যখন ইচ্ছা চলাফিরা বন্ধ কইরা দিতে পারি। "
বউ অবজ্ঞার দৃষ্টিতে তাকায়।
"বিশ্বাস হয়না?" লোকটা উত্তেজিত হয়ে পড়ে, "দেখো, ঐ যে গাড়ীটা আইতাছে, ঐটারে আটকাইয়া দিলাম।
" বলেই সে রেললাইনের ব্যারিকেড নামিয়ে দেয়।
টুং টুং শব্দ শুরু হয়, গাড়ীর ড্রাইভার অপেক্ষায় আছে কখন ট্রেন আসবে। এক, দুই, তিন, করে করে দশ মিনিট যায়, ট্রেনতো আর আসেনা। ড্রাইভার গাড়ীর জানালার কাঁচ নামিয়ে লোকটাকে জিজ্ঞেস করে, "ট্রেন আসেনা কেন রে?"
লোকটা বলে "ট্রেনতো আইতনা"
ড্রাইভার বলে "তাইলে ব্যারিকেড নামাইয়া রাখছস ক্যা?"
"এ্যামনে এ্যামনে"
গাড়ীর দরজা খুলে সিনেমার ভিলেনের চেয়েও ভয়ংকর বেগে বের হয়ে তেড়ে আসে ড্রাইভার। ঠাসঠাস করে লোকটার দুইগালে চারটা থাপ্পড় মেরে বলে, "তাড়াতাড়ি উঠা!!"
ব্যারিকেড ওঠে, গাড়ী ভুঁশ করে চলে যায়।
বউটা জিজ্ঞেস করে, "এইটা কি হইলো?"
লোকটা মিনমিন করে বলে, "আমি আমার খ্যামতা দেখাইছি, হ্যায় হ্যারটা দেখাইছে। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।