আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ভাইদের কাছে একটি অনুরোধ

যুক্তি,তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
আমি এই ব্লগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করছি ফেলানির তারকাটার তারে ঝুলে থাকা ছবিটা বার বার প্রকাশ না করার জন্য। কালকে রায় হওয়ার পর আজকের প্রায় পত্রিকায় এই ভয়ংকর অমানবিক এবং পৈশাচিক ছবিটা ছাপা হয়েছে। এভাবে বার বার এই ছবিটা দেয়ার মানে কি? আমরাই বা এত অমানবিক কেন?একবার চিন্তা করুনতো ফেলানির বাবা মার কথা।তাদের কেমন লাগছে পত্রিকায় বার বার এই অস্বাভাবিক ছবিটা দেখতে? লেখার সাথে ছবি দিতে হবে ভাল কথা কিন্ত তাই বলে বার বার এই ছবিটা কেন? ফেলানির পরিবারের কাছে কোন পারিবারিক ছবি নেই? বা একটা প্রতিকী ছবি কি লেখার সাথে দেয়া যায়না? আজকে ফেলানির পরিবার যদি সমাজের উচু লেভেলের কেউ হত তাহলে কি বার বার এই অস্বাভাবিক ছবিটা প্রকাশ হত? নাকি ফেলানির পরিবার গরিব বলে এমন হচ্ছে? বুঝালাম ঐ ছবিটা প্রকাশের দরকার ছিল কারন দেশের এবং বিশ্বের মানুষকে সীমান্ত পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য কিন্তু সেই সময় তো গত হয়েছে অনেক আগেই তাহলে কেন আবার সেই দু:খটাকে বার বার মনে করিয়ে দেয়া।অনেক টিভি চ্যানেলে দেখেছি মৃত মানুষের ছবি ঝাপসা করে রাখা হয় বা অস্বাভাবিক মৃত ব্যাক্তির মুখমন্ডল দেখানো হয়না।এখানেও কি সেরকম কিছু করা যেত না? এই ছোট মেয়েটি আপনার,আমার মেয়ে হতে পারতো বা বোন হতে পারতো।কেমন লাগতো তখন তারকাটায় ঝুলে থাকা আপনার বোন বা মেয়ের ছবি দেখতে? আমরা কি মৃত ব্যাক্তিকে একটু সম্মান জানাতে পারিনা? পরিশেষে আমি আবারো বাংলাদেশের প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করছি যে ফেলানি কে নিয়ে যেকোন ধরনের লেখার সাথে ছবি প্রকাশের সময় পারিবারিক বা কোন প্রতিকী ছবি প্রকাশ করার জন্য।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.