আমি কইলাম মরিনাই; বুকের আগুনও নেভে নাই, কসম ক্ষুধিরামের। খালি কয়দিন ধইরা কর্পোরেট ভন্ডামিতে ডুইবা আছি আপাদমস্তক! কমরেড, মিছিল আইলে একটা টোকা দিয়া যাইয়েন।
ঝড়ে ভেঙ্গে পরে গাছ। ভেঙ্গে পরে বুকের পাচীল। রাস্তার সাইনবোর্ড, ঘরের চাল, মেঘের ব্যারিকেড।
সব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় কালবোশেখী ঝড়ে। দেয়ালের পোষ্টারটিকে ভিজিয়ে চুপচুপে করে দিয়ে যায় বৃষ্টি, মনের উচ্ছাস কে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ডুবিয়ে দেয় পথঘাট। যেন চারদিকের নোংরামি এড়িয়ে যারা পথ চলে তাদের কিছুটা কাদাপানির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য ঝড় আসে।
আমি ভিজি, বৃষ্টিতে, রোদ্দুরে আর উচ্ছাসে।
ভিজতে ভিজতে ডুবে যাই। সাতরে কোনোমতে পাড়ে পৌছতে পারলে আবার পুড়তে থাকি, বৈশ্বিক উষ্নতার এই যুগে ওজন স্তর পেড়িয়ে আসতে থাকা অতি-বেগুনি আলো আমাকে পোরাতে থাকে। তার থেকেও বেশি পোড়ায় বুকের ভেতরকার বারুদ গুলো। তাই খুব সাবধানে, দেখেশুনে দিন কাটাতে হচ্ছে আজকাল। কখন জানি বারুদে আগুন ধরেযায়।
আমি আজকাল নিজেকে মানবিকতার সীমানা থেকে টেনে সরিয়ে রাখি। আমি মানুষকে ভালোবাসিনা (হয়তোবা পুজো করি)। আমি ঈশ্বরকে খুজি, তার কলজেটাকে মুঠো করে ধরে প্রশ্ন করতে চাই তুমি কে?
আমি সপ্ন ঘুরির সুতো হাতে নিয়ে ছুটে যাই পথে, উড়িয়ে দেই ঘুড়ি, আমার সপ্ন যায় চুরি। বাকি সবার ধারালো সুতোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে আমার ঘুড়ি কাটা যায়। উড়তে উড়তে ছুয়ে যায় শহর, বন্দর, লোকালয়।
হয়ত অন্য কারো হাতে গিয়ে পরে তাকে নষ্ট করার জন্য।
আমি ফু দিয়ে সিগারেটের ধোয়া ওড়াই। আমি ফু দেই, খুলে যায় মানুষের মুখোস, উড়ে যায় পাখির পালক, নাগরিক আবরজনা আর যত সব জলপাই রঙের হাত। আমি সবাইকে বুকের গভীরে যাপটে ধরি, আমি তার পৃথিবী হয়ে উঠি, তার সন্তান, তার প্রিয়তম। আমাকে প্রতি রাত্তিরে যে হাতের স্পর্শে ঘুম পারিয়ে দেয়, যে আমাকে খুন করে প্রতিদিন।
ঠোটের ওপর ঠোট এনে পুড়িয়ে দেয় আমাকে, বুকের উষ্নতা দিয়ে আবার জীবিত করে তোলে। আমি তাকে কষ্ট দেই, প্রতিটা মুহুর্তে তার চোখ দিয়ে রক্ত ঝড়াই। আমি সস্তা মরচে পরা পেরেক দিয়ে আমার হাত দেয়ালের সাথে গেথে ফেলি, অনুভব করতে চাই যিশুর কষ্ট। আমি সমস্ত জীবিত সত্তাকে খুন করি, তাদের রক্তে ভেসে যায় চরাচর। নুহের নৌকা নিয়ে পাড়ি দেই সেই রক্তাক্ত প্রবাহ।
আমি বাতাসের পায়ে সেকল পড়াই, রোদ্দুর কে স্কচ টেপ দিয়ে আটকে রাখি আমার বুকের সঙ্গে।
তারপর এই সমস্ত কষ্ট কলপনা শেষ হলে একা বিছানায় শুয়ে শুয়ে বরফির মত জানালার গ্রিলটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পরি টুপ করে।
(খুব ঝোড়ো এক সন্ধেবেলা সূনিলের কবিতা পড়তে পড়তে এটা লিখেছিলাম)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।