"...কোন মানুষকেই তার কাজের জন্য বেশি প্রশংসা বা বেশি নিন্দা করা উচিত নয়। কারণ আমরা সকলেই অবস্থা, পরিবেশ, শিক্ষা, অভ্যাস, বংশগত ধারা ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল..." -Lincoln
সেহরী খেলাম। যে আয়োজন তা সব চেখে দেখার সাহস পেলাম না। ভাবীকে বললাম এতসব কে খাবে? ভাবী এক কথায় জবাব দিল, “সবাই”। সংযম সম্পর্কে ক্ষুদ্র বয়ান করে আমি যা খেলাম তা দেখে ভাবী তার জা-কে চিমটি কাটল।
পিচ্ছিরাও উঠে গেছে। আসলে বাঁদরগুলি ঘুমায়নি। মহাধুমধামে তারা সেহরী খাচ্ছে। অজু করে পাঞ্জাবী চাপালাম। ফজর জামাতে আদায় করতে হবে।
আজান হয়ে গেল। পিচ্ছিরা এখনও কাড়াকাড়ি করছে। খাওয়ার চেয়ে ছিটাচ্ছে বেশি। জানিয়ে দিল কারো কথায়ই তারা প্রথম রোজা ভাঙ্গবে না। শপথ করে বলল, এটা তাদের পাক্কা কথা।
আমি বেড়িয়ে গেলাম। হাল্কা একটা শীতল হাওয়া খেলে গেল। আমি একধরনের পবিত্র অনুভূতি বোধ করলাম। তাকালাম আকাশের দিকে। মনটা উদাস হল।
ভরে গেল ভাললাগায়। শুভ্র পাজামা-পাঞ্জাবী, টুপি মাথায় প্রতিটি গলি থেকে দলে দলে মুসল্লিরা বেড়িয়ে আসছে। রমজান হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। সুতরাং এ সুযোগ কেউ হেলায় হারাতে চান না। আমারও মনে হল বেহেশত-এ যেতেই হবে।
বেহেশত -এ না গেলে হুর-পরী দেখা হবে না, মেওয়া খাওয়া হবে না। দ্য গ্রেট মিসিং!
ইমাম সাহেবের সাথে মুনাজাত ধরলাম। তার মুনাজাত দৈর্ঘ্য-প্রস্থে অধিকাংশ সময় বিরক্তিকর। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, শুধু আমিন আমিন না বলে নিজের মত দোয়া করব। হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে কেয়ামত পর্যন্ত সবার জন্য দোয়া করব।
আমি অবাক হলাম। লক্ষ করলাম সামহোয়ারইন-এর অনেকের কথাই মনে পড়ছে। আজনবী, ইউনুস খান, আরিফ থেকে আনা, নুশেরা, ত্রিভূজ, মাকসুদ খান, চিকন মিয়া, রাজামশাই, পারভেজ, ছন্নছাড়া পেন্সিল, রাতিফ, নাফিস... এমনি অনেকের কথা মনে এল। অদ্ভুত নাম গুলি বেশি মনে এল। যেমন মহিলা ছাগল, রাতমজুর।
যখন নুশেরার ‘জলপাই ছ্যাঁচার’ কথা মনে পড়ল..আমি হাসি চেপে রাখতে পারছিলাম না। “..এরোম এরোম..” মনে পড়তেই আমি সশব্দে হেসে দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।