চাদ দেখা :-
যতক্ষণ পর্যন্ত চাক্ষুস চাদ দেখা প্রমাণিত না হত.ততক্ষণ পর্যন্ত রসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহ আ্লাইহি ওয়াসাল্লাম রোজা করতেন না। একবার হযরত ইবনে ওমর রাঃ এর সাক্ষ্য গ্রহণ করে রোজা রাখেন। (জাদুল মায়াদ) । শাবানের ২৯ তারিখে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে পরদিন তিনি রোজা রাখতেন না। এ ই ক্ষেত্রে তিনি শাবানের ৩০ তারিখ পূর্ণ করার হুকুম দিতেন।
(জাদুল মায়াদ)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, চাদ দেখে রোজা রাখ এবং চাদ দেখে রোজা ভঙ্গ কর। যদি ২৯ তারিখে চাদ দেখা না যায় তবে্ শাবানের ৩০ তারিখের গণনা পূর্ণ করবে। (বোখারী,মুসলিম, মায়ারেখ)
সেহরীঃ-
রাসুলুল্লাহহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,সেহরীতে বরকত রয়েছে। সুতরাং কখনো সেহরী ত্যাগ করবে না। যদি কিছুই না পাওয়া যায় তবে এক ঢোক পানি হলেও পান করবে।
যারা সেহরী খায়,তাদের উপর আল্লাহতায়ালা রহমত নাজিল করেন, ফেরেশতারা তাদের কল্যাণ কামনা করে দোয়া করে। (মুসনাদে আহমাদ, মায়ারেফ)
ইফতারঃ-
হযরত আবু হোরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত আছে,রছুল সঃ বলে, আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন, আমার নিকট ঐ বান্দা অধিক প্রিয় যে শীঘ্র ইফতার করে ( অর্থাৎ-সূর্যাস্তের পর মোটেই বিলম্ব করে না)। (তিরমিজী , মায়ারেফুল হাদীস)
হযরত সালমান ইবনে আমের রাঃ হতে বর্ণিত, রাসুল সাঃ এরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে কেহ রোজা রাখলে সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। খেজুর না পেলে পানি দ্বারা ইফতার করে। কেননা আল্লাহ পাক পানিকে পবিত্র করে সৃষ্টি করেছেন।
(মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিজী, ইবনে মাজা, মারেফুল হাদিস)
হযরত আনাস রাঃ বর্ণনা করেন ,রসুল সাঃ মাগরিবের নামাযের পূর্বে কয়েকটি খেজুর দিয়ে ইফকার করতেন। সময়মত পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। আর শুকনা খেজুরও না পাওয়া গেলে কয়েক ঢোক পানি পান করে নিতেন। (তিরমিজী ,মায়ারেফ)
গীবতbr />
হযরত আবু ছাইদ খুদরী রাঃ এবং হযরত জাবের রাঃ হতে বর্ণিত,রাসুল সঃ এরশাদ করেছেন, গীবত ব্যভিচার হতেও গুরুত্র অপরাধ। কোন ছাহাবা বললেন হুজুর গীবত ব্যভীচার হতেও গুরুতর হওয়ার কারণ কি? তিনি এরশাদ করেন মানুষ দুর্ভাগ্য ক্রমে ব্যভিচার করে ফেললেও কেবল তওবার মাধ্যমে ই আল্লাহপাকের পক্ষ হতে তাহার মাগফিরাত ও ক্ষমা হতে পারে।
কিন্তু গীবতকারীকে যতক্ষণ না খোদ সে ই ব্যক্তি ক্ষমা করবে-যার গীবত করা হয়েছে; ততক্ষণ আল্লাহর পক্ষ হতে তাকে ক্ষমা করা হবে না। (বায়হাকী ,মারেফুল হাদীস)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত, নবী করীম সাঃ একদিন এরশাদ করলেন ,তোমরা কি জান,গীবত কাকে বলে? ছাহাবারা আরজ করেন, আল্লাহ এবং তার রাসুল ই ভাল জানেন। তিনি এরশাদ করলেন,তোমার ভাইয়ের এমন কোন দোষ আলোচনা করা যা প্রকৃত পক্ষে ই তার মধ্যে বিদ্যমান। যদি তার মধ্যে ঐ দোষ না থাকে তবে উহা হবে বোহতান (অপবাদ), যাহা গীবত অপেক্ষাও গুরুতর। (মুসলিম)
(বই- ওসওয়ায়ে রাসূলে আকরাম সাঃ থেকে সংগৃহিত)
গীবত করা পাখির গোশতের মত স্বাদযুক্ত।
তবে তা আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মত জঘন্য। তাইতো বলি আত্নশুদ্ধি, আত্নশুদ্ধি আত্নশুদ্ধি। নো সমালোচনা।
অসুন্দর কিছূ হাত দিয়ে প্রতিহত করা , না পারলে মুখে নিষেধ করা সেটিও না পারলে অন্তর থেকে ঘৃণা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।